অমিতাভ সিংহ
‘ দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ফিল্মটি ইতিমধ্যেই চার সপ্তাহে চারশ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। আর এস এস ও মোদীবাহিনী যেভাবে খুল্লামখুল্লা ফিল্মটির প্রচারে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে তাতে এই আপাদমস্তক বাণিজ্যিক কাহিনীচিত্রটি যদি সর্বকালের সেরা বক্স অফিস হিটে পরিণত হয় তাহলে অবাক হবার কিছু নেই। কাশ্মীরি পন্ডিতদের উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই ফিল্মটি সাধারণভাবে বলার জন্য নির্মিত করা হয় নি , এটি নির্মিত হয়েছে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য।একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে রাজনৈতিক মাইলেজ দেওয়া ও জনমত তৈরির উদ্দেশ্যে। একটা পুরানো ক্ষতকে খুঁচিয়ে তুলে সমাজে বিভেদ তৈরি তো বটেই একই সাথে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে চরমতম বিদ্বেষ তৈরি করাই এই ফিল্মটির মূল উদ্দেশ্য। যেমন করা হয়েছিলে কোভিদ এর সময়ে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত
‘ তবলিগ ই জামায়েতের ‘ একান্ত নিজস্ব জমায়েত সম্বন্ধে দেশ জুড়ে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো যে তাদের ( পড়ুন মুসলমানেদের) জন্যই সারা ভারতে ওই রোগ ছড়িয়েছে। চেপে যাওয়া হয়েছিল মোদির ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমেদাবাদের বৃহৎ স্টেডিয়ামে এনে বিপুল জমায়েত করে ‘ নমস্তে ট্রাম্প ‘ অনুষ্ঠান করার কথা। ওখানে যে বিদেশিরা এসেছিল তাদের থেকেই প্রথমে ওই অঞ্চলে কোভিদ ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকারগুলি এই ফিল্মটিকে
প্রমোদকরমুক্ত করে দিয়েছে। ফিল্মটি নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে । এতে ফিল্মটির পরোক্ষ প্রচার হচ্ছে। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী সস্ত্রীক,অনুপম খের,পল্লবী যোশীকে অমিত শাহ চা চক্রে নিমন্ত্রণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি কি চায়।
মুসলমানের হাতে হিন্দু নিগ্রহ একটা রক্ত গরম করা বিষয়।সেটাকে মুলধন করে একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা নিয়ে বিশেষ উদ্দেশ্যে একটা কাহিনী হতেই পারে।কিন্তু সেই ফিল্ম ডকুমেন্টারি না হওয়া সত্বেও প্রমোদকর মুক্ত হবে কেন,বিশেষতঃ বিজেপি পরিচালিত সরকারের রাজ্যে? যদি এটা সমাজে কোন বার্তা দিত তাহলে এত কথা লিখতে হত না।যেমন ডঙ্গল(নারীর ক্ষমতায়ন),টয়লেট এক প্রেমকথা( নারীদের কিছু সমস্যা), চাপক( অ্যাসিড অ্যাটাক) ছাড়া মেরী কম ও শচীন তেন্ডুলকরের ওপর বায়োকপিক এর মত ফিল্ম কর থেকে রেহাই পেলে কিছু বলার থাকে না।কিন্তু মোদী সরকার ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলওয়ামায় লড়াই লড়াই খেলাকে নিয়ে তৈরী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ফিল্মটিকে করমুক্ত করে দিয়েছিল যে উদ্দেশ্যে কাশ্মীর ফাইলস করমুক্ত করা হল আরো নক্কারজনক ভয়াবহ উদ্দেশ্য নিয়ে।শুধু গুজরাটসহ একাধিক রাজ্যের আগামী নির্বাচনে জেতার জন্য নয়,দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক আগুন জ্বালিয়ে, সংখ্যালঘুদের ওপর তীব্র বিদ্বেষ সৃষ্টি করে তা দেশকে নিয়ে যাবে এক অজানা সঙ্কটের দিকে।
কুরোশোয়ার রসোমন ফিল্মটিতে একটি ঘটনা চারজনকে দিয়ে চাররকম ভাবে বলানো হয়েছিল।মনে হয়েছিল সবাই সত্যটাকে তুলে ধরছে।এটাও সেইরকমই একটা ফিল্ম।একথা সত্য সেসময় বিদেশী অর্থে লালিত পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট কিছু কাশ্মীরি পন্ডিতকে খুন করে,ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যেতে প্ররোচিত করে। কিন্তু তারা তো বিজেপির ১৩ বছরের শাসনেও কাশ্মীর উপত্যকায় ফিরতে পারে নি,কেন? ১৯৯০ সালে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন উগ্রপন্থীরা যেমন টিকালাল টাপলু বা লাসা কলকে মেরেছে তেমনি মহঃ শাহাবান উকিল,মৌলনা মাসুদী সাহেব বা মীর ওয়াজ ফারুকের মত জনপ্রিয় নেতা বা সমাজের শীর্ষস্থানীয় খুন করতে কার্পণ্য করে নি। খুন হয়েছিলেন কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশীরুল সাহেব ও তার আপ্ত সহায়ক আব্দুল গণি।এসব ঘটনার স্থান নেই এই ফিল্মে। ফারুকের মৃতদেহ নিয়ে পঞ্চাশ হাজারের শোক মিছিলের ওপর বিনা প্ররোচনায় সিআরপিএফ গুলি চালিয়ে ২৭ জন শান্তিপ্রিয় মানুষকে মারে,আহত হন অসংখ্য। এভাবেই উত্তাল হয় উপত্যকা। রাজ্যে তখন বিজেপি ঘনিষ্ট জগমোহন রাজ্যপাল।তাহলে গুলির আদেশ কে দিয়ে কাশ্মীর আরো অশান্ত করেছিল বুঝতে অসুবিধা হয় কি?
১৯ জানুয়ারি ১৯৯০ সাল থেকে পন্ডিতদের ওপর আক্রমন শুরু হলে তারা উপত্যকা ছাড়তে শুরু করে।তখন তো কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ছিল না। ক্ষমতায় ছিল বিজেপির সমর্থনে ভি পি সিং সরকার। তাহলে ৮৫ জন বিজেপির সাংসদ তখন কি করছিলেন? গুলি চালনার পর উত্তপ্ত কাশ্মীরে বিজেপি নেতা ও তৎকালীন রাজ্যপাল জগমোহনের নেতৃত্বে শুরু হল স্টেট স্পন্সরড মার্ডার। খোদ রাজ্যপাল তখন পন্ডিতদের উস্কানি দিচ্ছেন উপত্যকা ছেড়ে পালানোর জন্য। বলেন আমরা তোমাদের নিরাপত্তা দিতে পারব না। প্রশাসনই ব্যবস্থা করে দেয় বাস, ট্রেকার,ট্রাকের।আহা কি দক্ষ প্রশাসন!অথচ কংগ্রেসকে দায়ী করার চেষ্টা হচ্ছে।
আর তারপর বিজেপি পিডিপি যৌথভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার চালিয়েছিল,তখনই বা তারা কাশ্মীরি পন্ডিতদের পুনর্বাসনের জন্য কি করেছিলেন?
সেসময় কংগ্রেস কেন্দ্রে বা জম্মু কাশ্মীরে ক্ষমতায় না থাকলেও কি করছিল? রাজীব গান্ধী এঘটনার প্রতিবাদে সংসদ ঘেরাও করেছিলেন।মাখনলাল ফোতেদার ও দেবপ্রসাদ রায়ের নেতৃত্বে একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করে পান্জাব ও জম্মু কাশ্মীর থেকে দিল্লীতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের দেখভালের ব্যবস্থা করেন তিনি।এই কমিটি কাশ্মীরি পন্ডিতদের জন্য ওষুধপাতি, সব্জী, দুধ ইত্যাদি সরবরাহের ব্যবস্থা করে। সুভাষ আলুওয়ালিয়া,অশোক রাজদান মূলত কাশ্মীর ক্যাম্পটি দেখতো। কাশ্মীরি পন্ডিতরা আত্মাভিমানী শিক্ষিত ও রাজনৈতিক সচেতন সম্প্রদায়। ১৬ টি ক্যাম্পের কেউ বলেন নি যে তাদের কেউ মারা গেছেন বা তাদের বাড়ী উগ্রবাদীরা বা অন্য কেউ দখল করেছে। সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হওয়ার পর তারা ভয়ে উপত্যকা ছেড়েছে। শিখেরা কিন্তু ছাড়েন নি। আশ্চর্যের কথা আজও পন্ডিতদের ছেড়ে যাওয়া বাড়ীগুলি কেউ দখল করে নি,পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে সিআরপিএফ সেগুলিতে আছে। ওইসময় থেকে এখনও কোথাও আরএসএস দের হতভাগ্য মানুষদের সেবক হতে দেখা যায় নি।
আরেকটি তথ্য জানানো যাক।মাত্র তিন মাসের মধ্যে খালি হয়ে গিয়েছিল কাশ্মীরি পন্ডিতদের ক্যাম্পগুলি। আসলে তাঁরা শিক্ষিত ও অভিমানী জাত,ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। সত্যি করে বলতে গেলে বলতে হয় মনমোহন সিং সরকারই তাদের জন্য যা করবার করেছিল।১৭০০ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প,মডেল টাউন তৈরি,পাকা বাড়ী তৈরি ইত্যাদি।
আরেকটি তথ্য বলার দরকার আছে।জম্মুতে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পাকিস্তান থেকে উচ্ছেদ হয়ে যে শিখ ও হিন্দুরা জম্মুতে আশ্রয় নেয় তারা মহারাজ হরি সিংয়ের ডোগরা সেনাদের সাহায্য নিয়ে ভয়াবহ দাঙ্গা করে। যাতে একলক্ষ মুসলমান হতাহত হয়। কিন্তু তার পাল্টা কোনো আক্রমণ কাশ্মীর উপত্যকায় হিন্দুদের ওপর হয়নি।শেখ আব্দুল্লা করতে দেননি। স্বয়ং মহাত্মা গান্ধি স্বাধীনতার এক সপ্তাহ আগে কাশ্মীর গিয়েছিলেন। তিনি কাশ্মীর উপত্যকায় হিন্দু – মুসলমান ঐক্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরের অভ্যন্তরে কোনো বড় সাম্প্রদায়িক সমস্যা ও আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার উদ্ভব হয়নি।
আরেকটি তথ্য জানাই,
ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের হাতে কাশ্মীরি পন্ডিত মারা গেছেন ৩৯৯ জন।একই সময় পনের হাজারেরও বেশী কাশ্মীরি মুসলমান মারা গেছেন সন্ত্রাসবাদীদের হাতে।সন্ত্রাসবাদীদের একই সঙ্গে লক্ষ ছিল কাশ্মীরের সংখ্যালঘু শিখরা।
এতদসত্বেও শিখরা তাদের বাড়ীঘরদোর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় নি। এই ঘটনাগুলিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা স্থান পায় নি ফিল্মটিতে। অন্য সম্প্রদায়ের ইতিহাসগুলিকে কেন তুলে আনা হল না? সারা দেশে একটা একপেশে ঘটনা দেখিয়ে নতুন করে বিভেদ ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে চরমে নিয়ে গিয়ে আগামী লোকসভা ও তার আগে কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই এই ফিল্ম নির্মাণ?
কংগ্রেস কতৃক প্রনীত তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী শ্রীনগরের জেলা পুলিশ দপ্তর জানিয়েছে কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদীরা জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯৯০ সাল থেকে যে ১৭২৪ জনকে হত্যা করেছে তার মধ্যে কাশ্মীরি পন্ডিত ৮৯ জন,বাকি ১৬৩৫ জন অন্য ধর্মের মানুষ। তাহলে ১৬৩৫ জনের কথা না শুনে শুধুমাত্র ৮৯ জনের কথা কেন শোনা হবে?
এই ছবির পরিচালক টেলিভিশন বিতর্কে বিজেপির পক্ষে গলা ফাটান ও বিজেপির চিন্তাধারা ও ন্যারেটিভ প্রচার করেন। অভিনেতা অনুপম খের তো বহুদিনই বিজেপির ঘনিষ্ট বলয়ে।তার স্ত্রী কিরণ খের তো উক্ত দলের এম.পি ছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তী তো বর্তমানে রঙ বদলিয়ে, উটির হোটেলটি বাঁচাতে বাংলার নির্বাচনের সময় থেকে বড় মোদীভক্ত।পশ্চিম বাংলার নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির মূখ।এরা সকলেই আধুনিক গোয়েবলস, যিনি মনে করতেন একটা মিথ্যাকে বার বার করে প্রচার করলে তা একসময় মানুষেরা সত্য বলে বিশ্বাস করতে থাকে।
এই সিনেমাটি সারা দেশে নতুন করে আগুন জ্বালাতে চলেছে।বিজেপির ন্যারেটিভ বা প্রচারের অভিমূখ –
” হিন্দুরা বিপন্ন” ও “সব ধর্মনিরপেক্ষ উদারবাদীরা দেশের শত্রু” ঠিক করে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নেবে এই ফিল্মটি।
ফ্যাক্ট বনাম ফিকশনের এক তীব্র সংঘাত এই ফিল্মটিতে।বিদ্বেষের চাষ করে লাভের ফসল তোলার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তার সঙ্গে বিভেদ খুঁচিয়ে তুলে মুসলিম বিরোধী জনমত তীব্র করা।বলা কঠিন ক্ষমতালোভীদের লালসার শেষ কোথায়।পরেশ রাওয়াল টুইটারে লিখেছেন প্রতিটি ভারতীয়ের এই ফিল্মটি দেখা উচিৎ। শিবানী ধরসেন তার প্রত্যুত্তরে লিখেছেন আমরা এই ফিল্মটি দেখব না।ঘৃণা ছড়ানোর জন্য আমাদের ইতিহাসের বিকৃত ব্যবহার বন্ধ করুন। উল্লেখ্য শিবানী ধরসেন কাশ্মীরি পন্ডিত পরিবারের একজন।বিহারের বিজেপির শরিক দলের নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝি বলেছেন নির্মাতাদের সাথে জঙ্গীদের যোগ আছে।কাশ্মীর পন্ডিতদের সংগঠন ‘ রিনাসিয়েশন রিটার্ন অ্যান্ড রিহাবিলিটেশন অব পন্ডিত ‘- এর সভাপতি সতীশ ছবিটি দেখে বলেছেন যে এই ফিল্মে অনেক কিছু লুকিয়ে রাখা হয়েছে।গত আট বছর কেন্দ্রে বিজেপি সরকার,তারা এর মধ্যে কি করেছে?বরং কংগ্রেস কিছুটা হলেও তাদের জন্য করেছে। জম্মুতে স্থায়ী শিবির তৈরি করেছে বাস্তচ্যূতদের জন্য,আর্থিক প্যাকেজ ঘোষনা করেছে।গ্রামে এখনো যে আট হাজার কাশ্মীরি পন্ডিত বসবাস করেন এই ফিল্ম তাদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে। জম্মু ও কাশ্মীরে এখনো যে সহস্রাধিক কাশ্নীরি পন্ডিত পরিবার না পালিয়ে এখনও বাস করেন তাদের জীবনের গল্প তো দেখানো হল না? তা না করে বেছে বেছে কয়েকটি ঘটনার অংশবিশেষ কি উদ্দেশ্যে দেখানো হল? কাশ্মীরি পন্ডিতদের কাশ্মীরের মুসলমানেদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা।এদের প্রশ্ন সন্ত্রাসবাদী হামলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কতজন কাশ্মীরি মারা গেছেন তা নিয়ে তো কোনও ফিল্ম তৈরি হল না? ১৯৯০ সাল থেকে এখানের সিনেমা হল বন্ধ।
আরেক কাশ্মীরি পন্ডিত সোমা লাখানির কথায় এ সিনেমা শিল্প নয়,প্রচার। বিশিষ্টজনেদের বক্তব্য বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরে প্রবলভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।কথা বললেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বন্দী করা হচ্ছে।মৌলিক অধিকারগুলি প্রয়োগ করাই যাচ্ছে না।
শেষ কথা যা না বললেই নয় তা হল উপত্যকায় কয়েক হাজার কংগ্রেস ও ন্যাশানাল কনফারেন্সের কর্মী ও নেতা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে মারা গেছে জম্মু ও কাশ্মীরকে রক্ষা করতে গিয়ে,তার একাংশ যদি আরএসএস/ বিজেপির হত তাহলে এর প্রচার কোথায় গিয়ে শেষ হত তা ভাবতেও ভয় লাগে।