( বিগত পৌরনির্বাচনে দমদম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী অনিন্দিতা হালদারের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তাঁরই কলমে।)
১২ই ফেব্রুয়ারি’২০২২ তারিখ থেকেই দমদম ৮ নং ওয়ার্ড পরিনত হলো যুদ্ধক্ষেত্রে, শাসকদলের প্রার্থী অন্য ওয়ার্ডের হওয়ার কারণে সৈন্য সামন্ত বেশ কিছু বহিরাগত সিন্ডিকেটশ্রী সঙ্গে এলাকার ও কিছু লক্ষ্মী ভান্ডার পাওয়া এবং কন্যা কন্যাশ্রী-প্রাপ্তা প্রমীলা বাহিনী। আমি দ্বিতীয় বারের প্রার্থী হওয়ার কারণে বেশ কিছু পরিচিতি ছিলো এলাকায়। এছাড়াও জলনিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের কথা যেহেতু শাসকদলের জানা তাই বেশ কিছু সমাজ বিরোধীদের কাজ ছিল যেখানেই আমার ব্যানার পোস্টার লাগানো হচ্ছিল সেগুলো ছিঁড়ে নামিয়ে শাসক দলের প্রার্থীর ব্যানার লাগানো।
বহিরাগত বাইক বাহিনী ও সশস্ত্র সমাজবিরোধীদের দিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের বুথ কর্মী ও দলীয়কর্মীদের ভয় দেখানো প্রচারে বাধা -এগুলো ছিলো রুটিন মাফিক ঘটনা।
ভোটের দিন ২৭শে ফেব্রুয়ারী আমি এবং ‘বহমান’ পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক শমীক গোস্বামী সকাল থেকেই পোলিং বুথে ছিলাম। এ ছাড়াও ছিলেন অন্যান্য মিডিয়ার বন্ধুরা। শমীক গোস্বামী এসেছিলেন নির্বাচন কভার করতে তাঁর ক্যামেরাম্যান নিয়ে। সকাল থেকেই প্রচুর বহিরাগতর আনাগোনা শুরু হয়ে যায় বুথে। আমি কখনো এক বুথে র বাইরে তো কখনো অন্য বুথের সামনে। ভৌতিক ভোটার ধরার জন্য। সে কাজে কখনো সফল হয়েছি ,বেশিরভাগ সময় ই বিফল।
পুলিশকে বারবার বলেও কোনো লাভ হয় নি। নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে অধিকাংশ সময়ই অগণিত অবাঞ্ছিত ভিড় ছিল। স্কুলের ভেতরে সিসিটিভি গুলি কেনই বা যে নিষ্ক্রিয় করা ছিল সে আজও রহস্য। চার চার জন মহিলা প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও পোলিং স্টেশনে ছিলো না মহিলা পুলিশ একজনও।
মিডিয়ার কাছে এবং আমাদের কাছে আছে বেশ কিছু ভিডিওর ফুটেজ। এরপরে ঘটে গেল কিছু অভূতপূর্ব ঘটনা।
তারপরে যা ঘটলো তা এই বঙ্গের ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় । লক্ষ্মী- ভান্ডার পাওয়া মহিলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হলো আমার শাড়ি খুলে আমাকে মাটিতে ফেলে বিভিন্ন স্পর্শ কাতর জায়গার আঘাত করা শুরু হলো।মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিশ মন্ত্রী; সেই পুলিশ নীরব দর্শক আর মহিলাদের দ্বারা মহিলা বিরোধী প্রার্থীর শ্লীলতাহানি ও মারধরের ইতিহাস এর আগে তেমন শুনেছি বলে মনে হয় না।