সুজিত দে, কোলকাতাঃ
এবার পথে নামলেন শিল্পী-সাহিত্যিক-নাট্যব্যক্তিত্ব-লেখক-কবি সহ সুশীল সমাজ।
রাজ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগে দুর্নীতি, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা, অগ্নিসংযোগ, প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সহ বিভিন্ন বিরোধী কণ্ঠকে দমিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে সরাসরি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে ‘শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চে’র পক্ষ থেকে ১৯ শে এপ্রিল কোলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন সংস্থা সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র প্রমুখরা।
এই প্রতিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে এক লিখিত বিবৃতিতে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান অরাজক পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নাম উল্লেখ করে, তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরো দাবি করা হয়েছে যে, রাজ্যের ‘শাসকদল জনগণের উপরে স্বৈরতন্ত্রের স্টিম রোলার’ চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে গণতন্ত্রের বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে আরো দাবি করা হয়েছে যে, ” নির্বাচন পর্বে শাসকদলের ভূমিকা আদৌ সুষ্ঠ নির্বাচনের অনুকূল নয়। লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনগুলিতে তা বারবার প্রকট হয়েছে।”
বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী জানান, সংগরিষ্ঠতার জোরে দিল্লিতে যেমন বিজেপি সরকার, তেমনই এরাজ্যের সরকারও জোর করেই সবটা চাপিয়ে দিচ্ছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার তাঁর লিখিত বিবৃতিতে এই অরাজক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন।
নাট্যব্যক্তিত্ব শ্যামল চক্রবর্তী তাঁর লিখিত বিবৃতিতে রাজ্যে ঘটে চলা অশান্তির পরিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষ যাতে আতঙ্ক এবং আশঙ্কামুক্ত জীবন যাপন করতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম রাজ্যের বুদ্ধিজীবীমহল এইভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামলেন।