—দিলীপ চক্রবর্তীঃ
২১ শে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । সারা বিশ্বে যত বাঙ্গালী আছেন তাদের অধিকাংশই ” আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১শে ফেব্রুয়ারী ” – এই গানটি শুনেছেন । আর এই গানটির রচয়িতা ছিলেন আবদুল গফফর চৌধুরী । তিনি কিন্তু প্রতিষ্ঠিত কবি বা গীতিকার ছিলেন না । ছিলেন সাংবাদিক , কিন্তু ১৯৫২ তে ঢাকায় ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে তাঁর এই কবিতা বিখ্যাত হয় । সুরকার আলতাফ মাহমুদ একে সুরারোপিত করেছিলেন । ১৯৭১ সালে ঢাকায় রাজাকার বাহিনী সুরকার আলতাফ মাহমুদকে হত্যা করে । গফফর চৌধুরী কোনও প্রকারে রক্ষা পান এবং কলকাতায় শরণার্থী হিসাবে আসেন । ঐ সময়ে তাঁর সঙ্গে যুব আন্দোলনে আমার সহযোদ্ধা প্রয়াত: কৃষ্ণা সরকার প্রথম তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন , এই পরিচয় ক্রমশই সখ্যে রূপান্তরিত হয় । ঐ সময়ে আওয়ামি লীগের পত্রিকার সঙ্গে তিনি যুক্ত হন , সময় সময়ে কালান্তর এবং সপ্তাহ দপ্তরে কিংবা পেট্রিয়ট পত্রিকা দপ্তরে আসতেন । আমার লেখা “একাত্তরের রাতদিন ” গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি ঢাকা থেকে কাজ শুরু করেন । দৈনিক সংবাদ , দৈনিক ইত্তেফাক , দৈনিক পূর্বদেশ , দৈনিক জনপদ এ কাজ করেন । বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি লন্ডনেই স্থায়ী বসবাস শুরু করেন , তাঁর বিখ্যাত নাটকের বই পলাশী থেকে ধানমন্ডী । গফফর ভাইয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল । কলকাতা এলে তাঁর সঙ্গে আড্ডা হতো আবার ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে গেলেও আড্ডা হতো ।