নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা,২৯ শে নভেম্বর’২২ঃ
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে, মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছেন নরেন্দ্র মোদি ; মঙ্গলবার কলকাতায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বললেন জননেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার কলকাতার প্যারাডাইস সিনেমা সংলগ্ন এলাকায় পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক জনসভায় উপস্থিত থেকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, দেশে বিভাজনের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে মোদি সরকার। সাভারকারের হাত ধরে যে সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনের রাজনীতির শুরু তাকেই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে দেশকে এক ভয়ংকর অবস্থার দিকে কেন্দ্রের মোদি সরকার ঠেলে দিতে চাইছে বলেও এদিন অধীর বাবু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের রুটি-রুজির সমস্যা, বেকারত্বের সমস্যা মেটানোর কোনো উদ্যোগই নেয়নি এই বিজেপি সরকার। সমাবেশে এদিন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই অধীর বাবু বলেন, তৃণমূল ও বিজেপির সম্পর্ক হলো — দিল্লিতে দোস্তি আর বাংলায় কুস্তি৷ তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, দিদি – মোদির এই লোক ঠকানো কান্ডকারখানা আজ মানুষ ধরে ফেলেছে। রাজ্যে ঘটে চলা দুর্নীতি প্রসঙ্গেও এদিন অধীর বাবু সরব ছিলেন। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বালি-পাথর থেকে শুরু করে চাকরি পর্যন্ত চুরি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা দিনের পর দিন – মাসের পর মাস খোলা আকাশের নীচে বসে আছেন, আন্দোলন চালাচ্ছেন আর দিদির সরকার কখনো রাতের অন্ধকারে পুলিশ পাঠিয়ে কখনোবা শারীরিক ভাবে আক্রমণ করে আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করছে। এতটা মমতাহীন সরকার ইতোপূর্বে বাংলার মানুষ দেখেননি এই বলেও অধীর বাবু তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন এদিন।পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস আহ্বানে এবং মধ্য কোলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুমন পালের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র, তাপস মজুমদার, মহঃ মোক্তার, সৌম্য আইচ রায়, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়,রানা রায় চৌধুরী, সুমন পাল, কৌস্তুভ বাগচি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সমাবেশে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো এদিন চোখে পড়ার মতো।