নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৩ জুলাইঃ
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মাটিতে শহীদের মৃত্যু বরণ করেছিলেন বরকত, সালাম,রফিক, জব্বর, শফিউর রা। এঁদের মধ্যে আবুল বরকত কিন্তু মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র। ১৯২৭ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর অঞ্চলের বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ আবুল বরকত। তাঁর ডাক নাম ছিলো আবাই। বাবলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর ১৯৪৫ সালে তালিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং তারপর ১৯৪৭ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এই আবুল বরকত। দেশভাগের পরে বরকত সপরিবারে পূর্ব পাকিস্তানে চলে গেলেও আজ মুর্শিদাবাদের মাটির সঙ্গে বরকতের শিকড়ের সম্পর্ক। এহেন মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র আবুল বরকতের নামে মুর্শিদাবাদের মাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
উল্লেখ্য ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র ছাত্রীদের উপর পূর্ব পাকিস্তানের পুলিশ গুলি চালালে হোস্টেলের ১২ নম্বর শেডের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হন বরকত।
অধীর বাবু বলেন, “বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় শহীদ আবুল বরকত মুর্শিদাবাদের গর্ব, তাই তাঁর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে তা হবে ভাষা-শহীদের প্রতি আমাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন। ” অধীর বাবু বলেন, “২১ শে জুলাই শহীদ দিবস পালন করছে তৃণমূল, ওই মঞ্চ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আবুল বরকতের নামে মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করুন”। ওই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে দুই বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরাই সেখানে পড়ার সুযোগ সুযোগ পাবেন, এমন স্বপ্নও তিনি দেখেন বলে অধীর বাবু সাংবাদিকদের জানান।