সুমন রায় চৌধুরী:
অগ্নিপথ স্কিম একটি বৈধ পথ যার মাধ্যমে সরকারী সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত সশস্ত্র সঙ্ঘী তৈরি করার পথ প্রশস্ত হয়। এতো দিন যারা হাফপ্যান্ট পরে হাতে লাঠি নিয়ে নানাবিধ ট্রেইনিং নিতো এখন থেকে তারাই আমার আপনার ট্যাক্সের টাকায় অস্ত্রের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে নেমে পড়বে দেশকে অস্থির রাখতে, সেই সাথে সরকারী তহবিল থেকে মাইনেও পাবে। এভাবে হিটলারও স্যল সাটজ় আকা নামে একটি দল গোড়ে তুলেছিল। প্রথম দিকে এরা বিভিন্ন হল বা সভা সমিতি পাহাড়া দিত, পরবর্তীতে এরাই জার্মান সেনার অধিভুক্ত হয়। এদের দুটি শাখা ছিল, অলজেমাইনা এসএস অর্থাৎ জেনেরাল বা কমন আর ভ্যাফেন এসএস অর্থাৎ আর্মড। এরা নাৎসিদের অনুগত ছিল। হিটলার প্রতিটি প্রতিবাদী কন্ঠস্বর কে রোধ করত এদের মাধ্যমে। উভয় শক্তিকেই প্রয়োগ করা মূলতঃ জিউসদের উদ্দেশ্যে। এদের নিয়ন্ত্রক হাইন্রিখ হিমল্যও প্রথগত মিলিটারি অফিসার ছিলেন না।
অতএব যে সমালোচনা চলছে এই স্কিম কে ঘিরে তাকে সম্পূর্ন অমূলক বলা যায় কি? বিভিন্ন পত্র পত্রিকা থেকে শুরু করে সমাজ মাধ্যমে এবং সেনার ভিতর থেকেও যে মূল বক্তব্য উঠে আসছে তা এই যে ভারতে বর্তমানে যে হিটলারটি শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ আছেন তিনি নিজেও অবগত নন কোন ফ্র্যাঙ্কেস্টাইনের তিনি জন্ম দিলেন!!! ভবিষ্যতে ভারত কোন দিকে চলেছে? কে এই সশস্ত্র সঙ্ঘীদের শিকার হবে? ভারতের সংখ্যালঘুদের উপরেও বা কীভাবে এর প্রয়োগ হবে তাও অজানা। প্রখ্যাত কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের একটি কবিতা কে খানিক পাল্টে লেখা,”তু খুন সে হো লতপত/ তু স্বেদ সে হো লতপত/ চার বারাস কে বাদ তু করেগা মেরা ইবাদাত/ কর শাপাথ কর শাপাথ কর শাপাথ/ অগ্নিপথ” তবে দল মত নির্বিশেষে এর বিরোধিতা কংগ্রেস করবে আপনার স্বার্থে, আপনি কি হাতে হাত রাখবেন না?