সুজিত দে:গত ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে তিন দফায় দক্ষিণ বঙ্গের ৮টি জেলার ৯১ টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেল। তাতে দেখা গেল বঙ্গ ভোট রাজনীতি ঐতিহ্য পরম্পরা থেকে একটুও বেরিয়ে আসতে পারে নি। খুন,দাঙ্গা, ধর্ষণ, হুমকি, মারামারি সবই রয়েছে এখনও পর্যন্ত এই নির্বাচনে।যদিও অন্যান্য বারের তুলনায় কনেকটাই কম। ৮ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছে তবুও ঠেকানো যাচ্ছেনা অপ্রীতিকর ঘটনা। অথচ অন্য চার রাজ্যে নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
তৃনমূল বিজেপি ও মিডিয়ার গোপন আতাঁতে নির্বাচনে দুই মেরুকরণে ষড়যন্ত্র হয়েছে। গত দশ বছরের তৃনমূলের দূর্নীতি আর অপশাসনে বাংলার মানুষ মুক্তি চাইছে। আর বিজেপি শাসনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আকাশ ছোঁয়া, কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়েছে, শ্রমিক কৃষকের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে,দেশের সম্পদ লুটে নিচ্ছে। মোদী- দিদির দৈত অপশাসনে মানুষ মুক্তি চাইছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবং বাংলার মানুষের নুন্যতম চাহিদা অন্ন অস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্য শিল্প এবং বেকার ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে বিকল্প হিসেবে ‘সংযুক্ত মোর্চা’ সরকার বানানোতে অগ্ৰনী ভূমিকা নিয়েছেন। মানুষের মুক্তির যে চোরা স্রোত বইছে, এই চোরা স্রোতকে সংযুক্ত মোর্চার ভোট বাক্সে আনার জন্য জননেতা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন।অপর দিকে তৃনমূল নেত্রী রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশালীন ভাষার ভাণ্ডার নিয়ে কখনো নিজের পুলিশকে কখনো নির্বাচন কমিশনকে কখনো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আবার কখনো বিরোধী নেতা নেত্রীদের আক্রমণ করে চলেছে। এসবই হতাশাগ্রস্তের আশ্ফালন। মাননীয়া পরিস্কার জেনে গেছেন গদি থেকে জনগন তাঁকে সরাচ্ছেই। আর সংযুক্ত মোর্চার সরকার আসছেই।