নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম; ২০ শে এপ্রিলঃ
সব থেকে বেশি উৎখাত হতে হচ্ছে আদিবাসীদেরই।ডেউচা-পাচমি পরিদর্শন করতে গিয়ে আজ এমনই মন্তব্য করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন যে, সারা দেশের জনসংখ্যার নিরিখে আদিবাসী মানুষ হলেন ৮.৬ শতাংশ, কিন্তু উৎখাত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরাই সর্বাগ্রে। অধীর বাবু বলেন, প্রায় ৫৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আদিবাসী সমাজের মানুষকেই উৎখাত হতে হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক।
আজ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ, রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব ডেউচা-পাচমির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর বাবু বলেন, আদিবাসী সমাজের মানুষরা খোলা আলো হাওয়ায় জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত, সেইসব মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার পরিবার পিছু মাত্র ৭০০ বর্গ ফুট জায়গা বরাদ্দ করছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
উল্লেখ্য বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথা এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা ব্লক এই ডেউচা-পাচমিতেই অবস্থিত। প্রায় বারো হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই ব্লকে জমি অধিগ্রহণ নিয়েই স্থানীয় আদিবাসীরা সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। বীরভূমের মহম্মদবাজারের এই কোল ব্লক
ডেউচা-পাচামি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে গঠিত। হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েত, ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দেউচা গ্রাম পঞ্চায়েত। এই হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে আছে ২১টি গ্রাম। ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৪টি গ্রাম আর দেউচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে আছে ২৮টি গ্রাম। আর এই সব গ্রামের মধ্যেই দেওয়ানগঞ্জ ও হরিণসিংহা এলাকা থেকে শুরু হবে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করা হবে শোনা যাচ্ছে।
জমি অধিগ্রহণের ফলে নিজেদের জল-জমি থেকে উৎখাত হওয়ার আশঙ্কায় এই অঞ্চলের আদিবাসী সমাজের মানুষরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। এ বিষয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, এই প্রস্তাবিত কয়লাখনির জমি অধিগ্রহণের নামে যাতে আদিবাসীদের উপর বল প্রয়োগ না করা হয় এবং প্রকৃতি-পরিবেশ যাতে ধ্বংস না হয় সে বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।