দিয়া দত্তের বিশেষ প্রতিবেদন, ৯ অগাষ্টঃঃ
হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া ২ এর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নীলাদ্রী চক্রবর্তী। ক্যান্সার আক্রান্ত। সদ্য চিকিৎসা করে বাড়ি ফিরেছেন। ৫ আগস্ট কংগ্রেস থেকে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি – বেকারত্বর প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত জেলাগুলিকে ধর্না প্রদর্শন করার নির্দেশ দাওয়া হয়।
কংগ্রেস প্রাণ নীলাদ্রী বাবু কী করবেন ? তাঁর বাধা শারীরিক জটিলতা। ক্যান্সারের মত বড় অসুখে আক্রান্ত হয়ে উনি হাঁটাচলা করতে অক্ষম, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের সঙ্গী তাঁর স্ত্রী। তবে কী মাত্রীসম দলের নির্দেশ অমান্য ? তা কোনোদিন নয়, নীলাদ্রী বাবু নিজের বাড়িতে মূল্যবৃদ্ধি – বেকারত্বর প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছেন।
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের আবহে স্বাধীনতার কান্ডারী সংগঠনটির এ এক বড় পাওয়া। যখনই দেখি শারীরিক / আর্থিক বিভিন্ন ব্যাক্তিগত সমস্যার সঙ্গে প্রায় ৫০ বছর ক্ষমতাহীন, শুন্য বিধায়ক বিশিষ্ট দলটির জন্য “নীলাদ্রী”-রা লড়ছে মনে হয় এই ধরিত্রীর বুকে মূল বস্তু “কর্মফল” আর অন্য সব বৃথা।
কংগ্রেসকে জনতা ভুলতে পারে না। কংগ্রেস স্বাধীনতা এবং উন্নত ভারত দিয়েছে, জনতা তাঁর পরিবর্তে অপরিসীম ভালবাসা দিচ্ছে। নীলাদ্রী চক্রবর্তীও প্রথমে আম জনতা।
আর “শিকড়” বলেও শব্দ হয়। বাংলার শিকড় হল কংগ্রেস। সুভাষ চন্দ্র থেকে শরৎচন্দ্র, বিরঙ্গনা মাতঙ্গিনি থেকে বিরেন্দ্রনাথ, সতীশ থেকে প্রফুল্লর ধারা এই বাংলার মাটিতে মিশে আছে। যে মাটির পরিচয় সুভাষ – শরৎচন্দ্ররা সে মাটি কংগ্রেসকে গুরুত্ব দেবেই।
এই বাংলার বুকে নীলাদ্রী চক্রবর্তীরা আমাদের বর্তমান যোদ্ধা। যারা শুধু “লড়াই” শব্দের সঙ্গে পরিচিত। অন্য দলগুলির এক একজন ব্লক সভাপতির মত কোটি কোটি টাকা নীলাদ্রী চক্রবর্তীদের থাকে না, তাঁরা পরিবারের জন্য শুধু সৎ পথে লড়তে জানেন, পরিবারকে ভাল রাখতে জানেন। এই নীলাদ্রী চক্রবর্তীদের পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।