নিজস্ব সংবাদদাতা, আগরতলা, ২৭ শে জুনঃ
বীরজিৎ সিনহা সহ কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে দেখা করে সোমবার এমনই দাবি জানালেন অধীর চৌধুরী, গৌরব গগৈ এবং নাসির হোসেন -কে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি দল। ত্রিপুরায় উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই আগরতলায় কংগ্রেসের সদর দফতরে হামলা চালায় বিজেপির দুষ্কৃতকারীরা। হামলায় গুরুতর ভাবে আক্রান্ত হন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। এই মুহূর্তে স্থানীয় হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। কেবল আগরতলা নয় সমস্ত ত্রিপুরা জুড়ে জায়গায় জায়গায় কংগ্রেস পার্টি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং কংগ্রেস কর্মীদের উপর নৃশংস ভাবে আক্রমণ চলছে রবিবার বিকাল থেকেই। এই সব গুন্ডাদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং অবিলম্বে ত্রিপুরায় শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে, আজ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি জানালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর বাবু জানান, মোদি চাইলেও কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়তে পারবেনা ; ত্রিপুরার উপনির্বাচনের ফলাফল তার প্রমাণ; গত বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া কংগ্রেসের উপনির্বাচনের দুর্দান্ত ফলাফলই তার সাক্ষ্য বহন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে অধীর চৌধুরী, গৌরব গগৈ, নাসির হোসেন সহ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীরজিৎ সিনহার সঙ্গে দেখা করে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। অবিলম্বে আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের পরিবারগুলিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান অধীর বাবু। অধীর বাবু স্পষ্ট জানান, দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে অবিলম্বে গোটা ত্রিপুরা জুড়ে কংগ্রেস আন্দোলন গড়ে তুলবে।
উল্লেখ্য ত্রিপুরায় নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এই প্রতিনিধি দল গঠন করে তাঁদের ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছিলো। এই কমিটি তাঁদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করবে সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির কাছে।