নিজস্ব সংবাদদাতা, ৯ জুনঃ
কুয়োর মধ্যে কেউ পরে গেলে তাকে উদ্ধার করে তুলে আনাই হলো প্রধান কর্তব্য। তা না করে বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সরকার বাংলার মানুষকে প্রথমে কুয়োতে ফেলে দিয়ে তারপর কুয়োর ভিতরে কোনরকমে টিকে থাকার জন্য ভিক্ষা পাঠাচ্ছেন, এমনই মন্তব্য করলেন সৌম্য আইচ রায় । তৃণমূলের ডোল রাজনীতি এভাবেই তিলে তিলে মানুষের জিয়ন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের আউটরিচ ও কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান সৌম্য আইচ রায় আরো বলেন যে, “তৃণমূলের এখন একটাই নীতি হলো যেভাবে পাও লুটেপুটে খাও।” বাংলার মানুষের জীবন জীবিকার নিরাপত্তাও আজ চরম প্রশ্নের মুখে বলে এই সাক্ষাৎকারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সৌম্য বাবু। তিনি বলেছেন- সাধারণ মানুষ মরছেন,খুন হচ্ছেন, তৃণমূলের সাধারণ কর্মী – সমর্থকরাও খুন হচ্ছেন আর মুখ্যমন্ত্রীর কোনো হেলদোল নেই। অতি সম্প্রতি বারাকপুরে নাবালিকাকে গণ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও সরব হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সৌম্য বাবু বলেছেন –“যা ঘটনাই ঘটছে, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তা ছোট ঘটনা ; তাহলে কি তিনি আরো বড় কিছু বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করে আছেন? ” সৌম্য বাবু উল্লেখ করেন, “বারাকপুরে নাবালিকাকে তার মায়ের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, এতো পুরো তালিবানি শাসন চলছে এই বাংলায়।” কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ” যেভাবে বে আইনি অস্ত্রের যোগান এবং সমাজবিরোধী দৌরাত্ম চলছে রাজ্যে তাতে দুয়ারে সরকার – দুয়ারে মদের পর এখনতো দুয়ারে দুয়ারে অস্ত্রের দিন চলে এসেছে এ রাজ্যে।” রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সৌম্য আইচ রায় বলেন, ” রাজ্যে এখন একটা নির্বাচিত স্বৈরাচারী সরকারের রাজ চলছে।”