অনিতা রায়:
ব্যাঙ্গালোরে আয়োজিত হল খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস বা কেআইইউ গেমস ভারত সরকারের ক্রীড়া ও যুব সম্পর্কিত দপ্তর ও স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সহযোগীতায় এই গেমস আয়োজন করে কর্ণাটকের জৈন বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত এই প্রতিযোগীতা চলে মোট ২০৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে।চ্যাম্পিয়ন হয় জৈন বিশ্ববিদ্যালয় মোট ৩২ টি মেডেল জিতে। যার মধ্যে ২০ টি সোনা,৭ টি রূপা ও ৫ টি ব্রোন্জ।পান্জাবের লাভলী প্রফেশনাল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ও পান্জাব বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। যথাক্রমে ১৭-১৫-১৯ ও ১৫-৯-২৪ টি মেডেল জিতে।
কলকাতায় সাই এর পূর্বাঞ্চলীয় কেন্দ্র তৈরী হয়েছিল কংগ্রেস আমলে যাতে বাংলা,বিহার,উড়িষ্যা,আসাম প্রভৃতি পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে ভাল খেলোয়াড় তৈরী হতে পারে। অথচ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গসহ এইসব রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্রীড়ার সাফল্য বিশেষ একটা নেই বললেই চলে। তারই মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারা ২০৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫ তম স্থান লাভ করেছে। সেখানে কলকাতা ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান যথাক্রমে ২০৪তম ও ৭০ তম। এ আমাদের বড় লজ্জার বিষয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা সাঁতারে দুটি কেআইইউ গেমস রেকর্ডও করেছে। উক্ত বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্রী সৃষ্টি উপাধ্যায় ১০০ মিটার বাটারফ্লাইতে সোনা ও ৪x১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে সোনা জিতে গেমস রেকর্ড করেছেন। এছাড়া তিনি ৫০ মিঃ বাটারফ্লাই তে রূপা ও ২০০ মিঃ বাটারফ্লাইতে ও ২০০ মিঃ মেডলীতে ব্রোন্জসহ মোট চারটি এককভাব মেডেলসহ মোট ৭ টি মেডেল জিতেছেন।
তাদের সাঁতারুরা রিলে ইভেন্টে ভালই করেছেন।৪x১০০মিঃ ফ্রিস্টাইল রিলে ইভেন্টে সোনা যেমন জিতেছেন,তেমনি ৪x২০০ মিঃ ফ্রিস্টাইলে ও ৪x১০০ মিঃ মেডিলীতে রূপাও জিতেছেন। সৃষ্টি উপাধ্যায় ছাড়া এই রিলে দলে ছিলেন সুনন্দা দত্ত,অঙ্কনা রায়,শ্রীময়ী চক্রবর্তী ও সৃষ্টি রায়।আন্দোলন.ইনের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ডিরেক্টর অপরূপ কোনার জানান যে সাঁতার ছাড়াও টেনিস,টেবিল টেনিস ও ক্যরাটে বিভাগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিযোগীতা করেছিলেন।