— পলাশ ভান্ডারীর প্রতিবেদনঃ
ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ – ভারতবর্ষের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় ব্যস্ত। তার প্রচুর উদাহরণ যেমন – ফৈজাবাদ জেলার নাম বদল, মোগলসরাই স্টেশনের নাম বদল, এলাহাবাদ স্টেশনের নাম বদল এমনকি তাজমহল ও কুতুবমিনারেরও নাম বদলের চেষ্টায় তৎপর।
মোদীর সবচেয়ে বড় সহযোগী বাংলার দিদি তিনিও মোদীর পরামর্শমত বাংলা থেকে মুর্শিদাবাদের নামহরণ করলেন। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ -এর স্মৃতিবিজড়িত ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী অন্যতম নায়ক সনামধন্য নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার স্বপ্নের জেলা মুর্শিদাবাদ। পলাশীর প্রান্তরের সেই ইতিহাসকে ভুলিয়ে বাংলা তথা ভারতবর্ষের মানুষকে মোদীর প্রদর্শিত পথে দিদি আজ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এটা থেকে প্রমাণিত হয় মোদীর নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের আর এক পরিচয় “ভারতবর্ষের সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু মানুষের বসবাসের জেলা”। মোদীর হাতের তামাক খেয়ে মুর্শিদাবাদ তথা বাংলার সংখ্যালঘু ভাই বোনেদের অপমান করার অধিকার দিদিকে কে দিলো ?সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে তাদেরকে এই অসম্মান করার জন্য দিদিকে ইতিহাসের পাতায় ভবিষ্যতে মীরজাফর হয়েই থাকতে হবে।
বাংলার পাঠ্য বইয়ে ইতিহাসের সঙ্গী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম সিঙ্গুর আন্দোলনের সঙ্গে রাখতে দিদির কোনো অসুবিধা নেই। বাংলার জনগণ হয়তোবা পাঠ্যপুস্তকে অর্পিতা মুখার্জীর নামও ভবিষ্যতে দেখতে পাবে।
তাই জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লোকসভার কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা, পঃ বঃ প্রদেশ কংগ্রেসের সম্মানীয় সভাপতি এবং মুর্শিদাবাদ থেকে জেতা সাংসদ শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী-র মতের সঙ্গে আমরা সকলেই একমত এবং জাতীয় কংগ্রেস আগামীদিনে সংখ্যালঘুদের উপর অনাচারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করবে।
( প্রতিবেদক হাওড়া জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি এবং নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য)