তপন ভৌমিকের বিশেষ প্রতিবেদন, ৫ নভেম্বর’২২ঃ
অশোকনগর বিধানসভার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের হিজলিয়া গ্রাম এবং অশোকনগর কল্যানগড় পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের মোমিনপুর গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে বিদ্যাধরী খাল ( যা গুমার খাল নামে প্রসিদ্ধ)। দুই গ্রামের সংযোগকারী একটি পুরাতন কাঠের সেতু আছে যা ১৯৭২ সালে তদানীন্তন কংগ্রেস বিধায়ক প্রয়াত কেশবচন্দ্র ভট্টাচার্যের উদ্যোগে তৈরী করা হয়েছিলো। বর্তমানে এই সেতুটি একেবারেই ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের গ্রামগুলির অশোকনগর শহরের সাথে যত যোগাযোগ অর্থাৎ স্কুল, হসপিটাল, বাজার, রেলস্টেশন যাবার জন্যে এই সেতুর উপর নির্ভরশীল। দৈনিক প্রায় পনেরো হাজার লোকজন এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।
বর্তমানে এই সেতুটির এমন দশা হয়েছে যে, রাতে তো সম্ভব নয়ই, দিনের বেলায়ও সাইকেল চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উপরন্তু রোজই কোনও না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। মহিলাদের যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সেতুর কাঠ ভেঙে ভেতরে পা ঢুকে যাচ্ছে। অনেক সময় সাইকেলও ঢুকে যাচ্ছে। এই সেতু ব্যাবহার না করলে আরও তিন কিমি. ঘুরে যেতে হয়। সেতুতে কোন আলোর ব্যাবস্থাও নেই। ফলে রাত্রিবেলায় ঐ সেতু ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে যায়।
এই অবস্থায় সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্যে শুক্রবার অশোকনগর শহর কংগ্রেস সভাপতি, সমাজসেবী বিভাস ভট্টাচার্য গ্রামের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে অরাজনৈতিকভাবে একটি গনস্বাক্ষর অভিযান সংগঠিত করেন।