নিজস্ব সংবাদদাতা,১৪ আগষ্ট :
গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে এআইসিসি নির্দেশিত “আজাদী কি গৌরব যাত্রা” পালিত হয়। সকাল দশটায় হিজলি সেন্ট্রাল জেলের গেট থেকে ২৭৫ টি মোটরসাইকেল এর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা খড়গপুর শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বোম্বাই রোড ধরে মেদিনীপুর শহরে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মোটরসাইকেল যাত্রা মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলের রাস্তায় পৌঁছায়। সেখানে মিছিলটির গতি রোধ করা হয়। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পদযাত্রা করে মিছিল এগিয়ে চলে জেল গেটের দিকে। নেতৃত্ব দেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি সমীর রায়। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলগেটে উপস্থিত হয়ে সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদদের স্মৃতির প্রতি এক মিনিট নীরবতা জানিয়ে পদযাত্রা আবার ফিরে আসে যেখানে তাদের মিছিল আটকানো হয়েছিল সেখানে। সেখান থেকে আবার মোটরসাইকেল মিছিল গিয়ে পৌঁছায় ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের গেটে। যেখানকার এক পড়ুয়া ক্ষুদিরাম বসু আর এক শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ বসু ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ হয়েছিলেন, সেই ঐতিহাসিক স্কুল গেটের সামনে অনুষ্ঠিত একটি সভায় উপস্থিত কংগ্রেস সদস্যরা শপথ গ্ৰহণ করেন।শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা কংগ্রেস সভাপতি সমীর রায়।উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য এবং জেলা কংগ্রেস নেতা শ্রী শম্ভু চ্যাটার্জি, চিরঞ্জীব ভৌমিক, শান্তি দত্ত, তীর্থঙ্কর ভকত ও অন্যান্যরা। দীর্ঘ এই ৫০ কিলোমিটার শোভাযাত্রায় কংগ্রেস কর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রকাশ দেখা যায়।উল্লেখ্য ব্রিটিশরাজে এই হিজলী সেন্ট্রাল জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ফলে সন্তোষ মিত্র ও তারকেশ্বর সেনগুপ্ত মারা যান।বাকী বন্দীরা ব্রিটিশ পুলিশের কাছে এই দুই মৃত বন্দীর মৃতদেহ ছাড়তে রাজী হন নি।এই খবর পেয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র ও যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত সেখানে পৌঁছন ও মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে এসে সৎকার করেন।এই জেলে ফাঁসি হয় বিপ্লবী প্রদ্যোত ভট্টাচার্য, ব্রজ কিশোর চক্রবর্তী,রামকৃষ্ণ রায়,নির্মলজীবন ঘোষ,হরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও কৃষ্ণ গোপাল চৌধুরী।