ঈদের পরেই রাজ্য জুড়ে আন্দোলন – জানালেন অধীর চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদন; ২৯ শে এপ্রিল,কোলকাতাঃ

সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করলেন অধীর চৌধুরী। আজ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয় ‘বিধান ভবন’-এ আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন যে, রাজ্যে যখন কর্মসংস্থান তলানিতে তখন সরকারের প্রশ্রয়ে রমরম করে বেড়ে উঠছে সিন্ডিকেট রাজ, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই রাজ্যে খুন-খারাবি এবং অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অধীর বাবু বলেন যে, সিন্ডিকেট- তোলাবাজি এসবের দখল নিতে গিয়েই তৃণমূল আজ তৃণমূলকে খুন করছে এবং তার ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণ এরাজ্যে আজ ওষ্ঠাগত।

এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা আরো বলেন যে, ‘দিদি-মোদীর সখ্যতা’ কারো অজানা নয়। ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে তৃণমূল গোয়ার মতো রাজ্যে বিজেপি কে ভোট কাটাকুটি করে জিততে সাহায্য করেছে বলেও অধীর বাবু উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন কোলকাতার চিকিৎসার উপর আস্থা থাকেনা বলেই বাংলার মানুষ কখনো ভেলোর-হায়দ্রাবাদ-চেন্নাই যেমন ছোটেন তেমনই রাজ্য সরকারের তদন্তের উপর আস্থা নেই বলেই বাংলার মানুষ সিবিআই তদন্তের দাবি করেন।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দেউচা-পাচামী নিয়েও রাজ্য সরকারকে এক হাত নেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন ‘দেউচা-পাচামী’ আদেও কতটা বাস্তবসম্মত প্রকল্প তার সারবত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও সংশয় আছে। দেউচা-পাচামী নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে মানুষকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বলেও অধীর বাবু অভিযোগ করেন।

রাজ্যে শিল্পের বেহাল দশা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধীর বাবু এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন যে, রাজ্যে ছ-ছ’টি বি. জি. বি. এস হলো কিন্তু আদপে রাজ্য এবং রাজ্যবাসী কি পেল তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে অবিলম্বে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত। রাজ্যে জুট শিল্পের বেহাল দশার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এদিন রাজ্য এবং কেন্দ্রকে এক তিরে বিঁধে বলেন যে, পাট শিল্পের উন্নয়নে দুটি সরকারই কোনো সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।

রাজ্য জুড়ে তৈরি অরাজক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে এবং রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ঈদের পরেই কংগ্রেস জোরদার আন্দোলনে নামবে বলে এদিন অধীর বাবু ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য অধীর বাবু এদিন বিধান ভবনে রাজ্য কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতেও যোগ দেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *