নিজস্ব সংবাদদাতা, কোলকাতা,১১ নভেম্বর’২২ঃ
লটারি খেলতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন বাংলার মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষ, অন্যদিকে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা কোটি কোটি টাকার লটারি পুরস্কার পাচ্ছে ; শুক্রবার বিধান ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর বাবু এদিন প্রশ্ন তোলেন এই লটারিগুলোর মালিক কে? কত টাকা আয় হচ্ছে? তিনি বলেন এ সমস্ত তথ্য সামনে এলে দেখা যাবে যে, বাংলায় এই লটারিকে কেন্দ্র করে আরো এক ভয়ঙ্কর আর্থিক দুর্নীতি ঘটে চলেছে।
পূর্ব নির্ধারিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী চাকুরি প্রার্থীদের উপর পুলিশ প্রশাসনের পৈশাচিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত পরশু কোলকাতার রাজপথে চাকুরির দাবিতে আন্দোলন করা এক মহিলাকে এক মহিলা পুলিশের কামড়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এদিন বলেন, “বাংলার মানুষ এর আগে ম্যান ইটার বাঘের কথা শুনেছে, এবার দেখল ম্যন বাইটার পুলিশ।” অধীর বাবু কটাক্ষের সুরে বলেন, ” রাজ্যের পুলিশ হয়ত এই কামড়ে দেওয়ার সংস্কৃতিও মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা থেকে পেয়েছেন।”
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যে বিজেপি দাঙ্গা করার ছক করছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অধীর বাবু বলেন, এ রাজ্যে কেউ দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করলে বাংলার মানুষ তা একজোটে রুখে দেবেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, দাঙ্গা বাঁধানোর সব খবর যদি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থাকেই তবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? দাঙ্গা – সি এ এ এসব গল্প সামনে এনে আসলে বিজেপি ও তৃণমূল ভোটের সস্তা রাজনীতি করতে চাইছে বলে এদিন অধীর বাবু অভিযোগ করেন।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ টেনে অধীর বাবু আজ আবারও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ডেঙ্গু নিয়ে তথ্য গোপনের গুরুতর অভিযোগ আনেন।এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর বাবুর সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন নেপাল মাহাত, অসিত মিত্র, সৌম্য আইচ রায়, তাপস মজুমদার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, কৌস্তভ বাগচী প্রমুখ কংগ্রেস নেতারা।