আজ কাঁথি মহকুমা কংগ্রেস কার্যালয়ে আধুনিক ভারতের স্থপতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন রাজীব গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শৈলজা দাস, জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্র প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি দীপক দাস, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বারিদ বরন মহান্তি সম্পাদক মাসুদ মল্লিক , কাঁথি মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি গঙ্গারাম মিশ্র, কাঁথি ১নং ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রামচন্দ্র ত্রিপাঠী, কাঁথি ৩নং ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি লঙ্কেশ্বর বারিক, কার্যকরি সভাপতি তপন ভূঞ্যা, দেশপ্রাণ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি জাহির আলী সাহা প্রমুখ।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্র রাজীব গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বলেন ১৯৮৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস সংসদের ৫৪২টি আসনের ৪১১টিতে জয়লাভ করে। যা ভারতের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড। রাজীব গান্ধী লাইসেন্স প্রথা, শুল্ক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য অনুমতি প্রদানের নিয়মনীতি ঢেলে সাজান। টেলিযোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ তথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তাঁকে প্রযুক্তিগত ভারতের স্থপতি বলা হয়। প্রাক্তন বিধায়ক শৈলজা দাস বলেন ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর মায়ের মৃত্যুর দিন মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে তিনি দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীরূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। ১৮ বছরের যুবকদের ভোটাধিকার দিতে আইন প্রণয়ন, পঞ্চায়েতি রাজ ও নগর পালিকা বিল তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান। শ্রী দীপক দাস বলেন রাজীব গান্ধী শ্রীলঙ্কা, আসাম, মিজোরাম এবং পাঞ্জাব চুক্তির মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে শান্তি স্থাপনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। রাজীব গান্ধীও কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের অভ্যন্তরীণ লড়াই নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। রাজীব দেশের যুবশক্তিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতেন, তিনি বিশ্বাস করতেন যে যুবসমাজ দিয়েই দেশের উন্নয়ন সম্ভব।
তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে রাজীব গান্ধীর প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়, উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ প্রামাণিক, সম্পাদক সুকুমার পট্টনায়ক, স্বপন রায় এবং অন্যান্য নেতা ও কর্মীবৃন্দ।
এগরা মহকুমা কংগ্রেস কার্যালয়ে ভারতরত্ন রাজীব গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাধনকান্তি উত্থাসনী, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমিতাভ জানা, প্রাক্তন কাউন্সিলার মিন্টু দাশ, কালিপদ শীট, স্বপন দাস ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ।
পটাশপুর ১নং ব্লক কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর বল্লভের নেতৃত্বে পাথরঘাটা কংগ্রেস অফিসে রাজীব গান্ধীর প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়।
মহিষাদল কংগ্রেস কার্যালয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন রাজীব গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক তাপস কুমার মাইতি, জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মাখন চন্দ্র ঘোড়াই, কংগ্রেস নেতা সন্তোষ গোস্বামী, অজিত মিশ্র, রঘুনাথ কামিলা এবং অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ।
চন্ডীপুর ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আবক্ষ মুর্তিতে মালা পরিয়ে তাঁকে স্মরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সেক রেজাবুল, কংগ্রেস নেতা সুনিল দাস, বিশ্বজিৎ পাল,রামকৃষ্ণ গায়েন,প্রভাত বেরা প্রমুখ।
পাঁশকুড়া শহরে ইন্দিরা ভবনে পাঁশকুড়া ব্লক কংগ্ৰেস কমিটির পক্ষ থেকে রাজীব গান্ধীর আবক্ষ মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রামপদ সামন্ত-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ।।
প্রতাপদিঘিতে রাজীব গান্ধীর প্রয়াণ দিবস পালনে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভার্গববেন্দ্রনাথ জানা, পটাশপুর ২নং ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সীতারাম পাহাড়ী ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।
খেজুরী ১নং ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মনোরঞ্জন জানার নেতৃত্বে হেঁড়িয়াতে রাজীব গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাজকুলে কংগ্রেস কার্যালয়ে শ্রমিক নেতা অলক অধিকারী, দিলীপ প্রধান ও অন্যান্য নেতৃত্ব রাজীব গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।