নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:
আজ দুপর দুটোয় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে কংগ্রেসের বেশ বড় একটা মিছিল রাজভবন অভিমূখে এগিয়ে চলে। রাহুল গান্ধীকে অনৈতিকভাবে ও মিথ্যা অভিযোগে ন্যাশানাল হেরল্ড মামলা যা ছয় বছর আগে তদন্ত শেষ করে অভিযোগের সারবত্তা না থাকার কারনে মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেই মামলা আবার খুঁচিয়ে তুলে গত দুদিন প্রায় কুড়ি ঘন্টা ধরে রাহুল গান্ধীকে জেরা করা ও গত দুদিন অধীর চৌধুরীসহ একাধিক সাংসদ ও নেতাদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ, বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরমের পাঁজরের হাড়ে আঘাত করা,নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন থানায় একফোঁটা জল পর্যন্ত পান করতে না দেওয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে হিটলারের সময়ে নাৎসি জমানার।
আজ সকাল থেকে এআইসিসি সদর দপ্তর আকবর রোডের সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে দপ্তরের কাগজপত্র তছনছ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে ও কর্মীরা দপ্তরে ঢুকতে গেলেই তাদের আটক করে নিগৃহিত করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের মানুষেরা পর্যন্ত জানতে পারছেন না তাদের কোন সংবাদ।এরই প্রতিবাদে অধীর চৌধুরী ও অন্যান্য নেতারা কংগ্রেস সদর দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেছেন।এসব ঘটনার প্রতিবাদে আজ প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে মিছিলের অায়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসে নেতা অসিত মিত্র,প্রীতম ঘোষ,কৃষ্ণা দেবনাথ,আশুতোষ চ্যাটার্জী,জেলা কংগ্রেস সভাপতি রানা রায়চৌধুরী,তাপস মজুমদার, পলাশ ভান্ডারী,সুমন পাল,প্রদীপ প্রসাদ,প্রদেশ নেতা স্নেহেন্দু চৌধুরী, তপন আগরওয়াল, অমিতাভ সিংহ,সুমন রায় চৌধুরী,দিব্যেন্দু মিত্র, আই এন টি ইউ সির সভাপতি কামারুজ্জমান কামার,মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুব্রতা দত্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মিছিল শুরু হওয়ামাত্র পুলিশের লাঠি আছড়ে পড়ে। কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। এরই মাঝে পুলিশের লাঠির আঘাতে বহু মহিলা আহত হন।প্রথমে মহিলা পুলিশ না থাকলেও পরে মহিলা পুলিশ এনে টেনে হিঁচড়ে মহিলাদের পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।অন্যান্য কর্মীদের আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।সব পুলিশ ভ্যান পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি বাস ও মিনিবাস নিয়ে বাকী কর্মীদের গ্রেপ্তার করে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়।উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি রানা চৌধুরী জানান প্রতিদিন প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ চলবে যতদিন না কংগ্রেস নেতাকর্মীদের ওপর এইধরনের দমনপীড়ন নীতি চলবে।