নিজস্ব প্রতিবেদন, কোলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বরঃ
পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে সংগঠিত হতে চলেছে ভারতজোড়ো যাত্রার কর্মসূচী। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, যেসব রাজ্যের মধ্যে দিয়ে রাহুল গান্ধীর পদযাত্রা নির্ধারিত নেই সেই সমস্ত রাজ্যেই ভারত জোড়ো’ যাত্রার কর্মসূচী হিসাবে দীর্ঘ পদযাত্রা সংগঠিত হতে চলেছে। এই তালিকায় রয়েছে প্রধানত পূর্ব ভারত এবং উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। শনিবার বিধান ভবনে এ কথা জানান সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির বর্ষীয়ান দুই নেতা দ্বিগবিজয় সিং এবং জয়রাম রমেশ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস নেতারা জানান পশ্চিমবঙ্গেও একই আদলে লম্বালম্বিভাবে পাহাড় থেকে সমুদ্র অথবা সমুদ্রাঞ্চল থেকে পাহাড় এই পদযাত্রা সংগঠিত হবে। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয় বিধান ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিং, জয়রাম রমেশ,প্রদীপ ভট্টাচার্য,নেপাল মাহাত, অসিত মিত্র, শরত রাউত, বি পি সিং, শুভঙ্কর সরকার, ্সৌ্ম্য আইচ রায়, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখেরা। সেখানেই উপস্থিত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে বিধান ভবনে বাংলার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন দ্বিগবিজয় সিং এবং জয়রাম রমেশরা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারত জোড়ো’ যাত্রার পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত কো-অর্ডিনেটর সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২০ শে সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা এক বৈঠকে বসে এই রাজ্যের ভারত জোড়ো’ যাত্রার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করবেন। চরম বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদ, বিভাজনের রাজনীতি বিরোধিতা করে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েই বাংলার বুকে এই দীর্ঘ পদযাত্রা সংগঠিত হবে বলে এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ভারত জোড়ো’ যাত্রার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি প্রচার পত্রও রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার কথাও ভাবছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেই প্রচার পত্রেও সাধারণ মানুষের রুটি রুজির সমস্যাকেই প্রধানত অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রেও রুটি রুজির সমস্যাকে অভিমুখ করেই এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলছে।