অনির্বান দত্ত :
রাহুল গান্ধী কি কিছু ভুল বলেছেন? তাঁর টুইট আর কোলাজের বাকি অংশগুলি কি একই দিকে দেখাচ্ছে না? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বাকি অংশগুলি আজকের (রবিবার, ১৫ই মে ২০২২) বিভিন্ন সংবাদপত্রের অংশ। মাত্র একমাস আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখে সারা বিশ্বকে খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল না? আর এক মাসেই ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে যাওয়া? সত্যি কথা বলতে কি, প্রতিশ্রুতি দিতে তো কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না। আর ট্যাক্স দেওয়ার পরম পবিত্র কর্তব্য খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। নীতি-নির্ণায়কদের আবার কিসের দায়? একদিকে খাদ্যের উদ্বৃত্তের ঘোষণা (স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে), আর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা?? তা হলে কোনটা সত্যি? দেশে গম এবং অন্যান্য খাদ্যশস্যের প্রকৃত পরিস্থিতি কি? অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যেরই বা কি পরিস্থিতি? জ্বালানীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সারাদেশে খাদ্য পরিবহনের উপর কতটা বিরূপ ভাবে পড়েছে এবং পড়ে চলেছে? এর সৎ উত্তর কি কেন্দ্রের কাছে আছে?
আরো সাংঘাতিক ব্যাপার হল কেন্দ্রের নিজের প্রকাশিত তথ্য। যা থেকে জানা যাচ্ছে দেশের ৯০ শতাংশ শিশু ঠিকমত খাবার পাচ্ছে না। এমন বিস্ফোরক তথ্য জানাল খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় রিপোর্ট ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫। কেন্দ্রীয় সমীক্ষা রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশের ৬-২৩ মাস, অর্থাৎ ২ বছরের কম বয়সের শিশুদের মধ্যে মাত্র ১১.৩ শতাংশ শিশু পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে উচিত দেশের খাদ্যশস্যর পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।
এর সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংকের বক্তব্যও পিলে চমকে দেওয়ার মত। দেশের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ক্রমাগত পড়তির দিকে টানা নয় সপ্তাহ ধরে। তা হলে, যদি দেশে সত্যিই গম উদ্বৃত্ত হয়, তা হলে তা রফতানি করে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার বাড়ানোর সুযোগ নেওয়া যেত না? আর যদি উল্টোটা হয়??? অর্থাৎ গম বাড়ন্ত! তা হলে কি কিছুদিনের মধ্যে খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে? হাতের কাছেই আছে কিন্তূ নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ। দেখা যাক কেন্দ্রের তরফ থেকে কোন সদুত্তর আসে কি না!