অমিতাভ সিংহের প্রতিবেদনঃ
প্রসঙ্গ- গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা।
মাত্র ৬৮ দিন এরই মধ্যে একটা সরকার কিভাবে নিজেদের একটা গ্রহন করা নীতি আমূল পাল্টে ফেলে ও দুদিনের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে নিজেদের অকর্মণ্যতার পরিচয় দেয় তা এই গম রপ্তানি নীতি থেকেই বোঝা যায়।
দেশে এবার রেকর্ড ফলন হয়েছে গমের। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্ববাজারে গমের চাহিদা বাড়ার পূর্ণ সুযোগ নেওয়ার বার্তা দিল সরকার।কদিন পর সরকার কৃষকদের আশ্বাস দিল যে কোনভাবেই গম রপ্তানিতে রাশ টানা হবে না।দিনটা ছিল ১৬ মার্চ।নয়টি দেশ,যেমন ইন্দোনেশিয়া,ফিলিপিন্স, তুরস্ক,মরক্কো,ভিয়েতনাম,তাইল্যান্ড,তিউনেশিয়া,আলজেরিয়া,লেবানন এ গম রপ্তানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বাণিজ্য দল পাঠানোর কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।কিন্তু মাস দুই কাটতে না কাটতেই আমূল বদলে গেল সরকারের নীতি।গত ১৪ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সরকার।
৫৬ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা বুক বাজিয়ে ১৩ এপ্রিল বলেছিলেন, যদি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা সম্মতি দেয় তাহলে ভারত সারা বিশ্বকে গম দেবে।সেদিন তিনি এও বলেছিলেন যে আমাদের দেশের মানুষের জন্য যথেষ্ট পরিমান খাদ্যদ্রব্য মজুত আছে। ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের গম সংগ্রহ কমিয়ে দিল।৪ মে সরকার গরীব কল্যান যোজনাতে গমের বরাদ্দ কমিয়ে দিল।মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে খোলা বাজারে আটার দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে গেল। গত১২ মে মোদী সরকার বলেছিল ভারত ৯ টি দেশে গম রপ্তানি করবে।এরপর গতকাল অর্থাৎ ১৪ মে সরকার গম রপ্তানি বন্ধ করে দিল। রপ্তানির পর চাষীরা যে বেশী দাম পাচ্ছিলেন তার আশারও সলিল সমাধি। একইসাথে সরকার গম কেনা বন্ধ করে দেওয়ায় চাষীদের কাছে তা দেখা দিল গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসাবে। নীতিপঙ্গুতার উদাহরণের সাথে সরকারের চূড়ান্ত অকর্মণ্যতা যোগফলের একটা ছোট্ট উদাহরণ।