(১৩ শে নভেম্বর প্রয়াত জননেতা প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সীর জন্মবার্ষিকী। তাঁর লেখা কবিতা দিয়েই তাঁকে আজ খুঁজে দেখার চেষ্টা করি আরো একবার। বিস্মৃতির অতল থেকে প্রিয়’দার লেখা একটা কবিতা…)
প্রদাহ
-প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী
তার চেয়ে বলো না
এই মানুষগুলোকে হাভাতে হ্যাংলা ভেবে
শুয়োরের পালে ওদের দেখতে চাই
কিংবা
আর সব জানোয়ারের মত সুস্বাদু মাংসের জন্য
কসাই-এর ঘরে চালান করে দিই ওদেরকে।
মিছিলের পর মিছিল
আর
প্রতিশ্রুতির পরেই বিস্মৃতি
এবং আবার প্রতিশ্রুতি
আমাদের রাজনীতির বেশ্যালয়ে লক্ষ
জারজের জন্মের মত
গোটা জীবনটাকেই দাসত্বের কারাগারে
চৌকিদার করে রাখে।
আদিম কোন পশুশক্তি
সুলতানের হারেমের শেষ রাতের সাক্ষী হয়ে
গোটা দেশটাকে ধর্ষণ করছে।
বিপ্লবের পঞ্জিকা যাদের হাতে
তারাই একাদশী ও অমাবস্যার অজুহাতে
বিপ্লবের সব আয়োজনকে ব্যর্থ করে রাখছে বারবার।
অথচ গঙ্গাজলে স্নান করা পূণ্যার্থীর মত
লক্ষ লক্ষ দরিদ্র নির্বাক আমরা
প্রতিশ্রুতির মন্ত্র জপছি।
একটা মসনদের ইঁট ভাঙতে স্ত্রীর কথা ভাবি
একটা সিন্দুকের ধন কাড়তে পুত্রের কথা ভাবি।
একটা প্রচন্ড প্রলয় ভাবতে
নিজের
বাঁচার কথা ভাবি।
আমরা জানোয়ার বলেই
আমরা এখনো ভাবার সময় পেলাম না
যে আমরা নিয়তই পশুর খাঁচায় বন্ধ
একালের নিষ্পেষণের বড় হাতিয়ার,
আমাদের অস্থি নিয়ে কত অত্যাচার।
অর্বাচীন স্তাবকের দলে
আমরা মিছিলের সাথীরা পথভ্রষ্ট
রাখালের পাল
কে আছো এগিয়ে এসে ধরো এই হাল।
————-