অশোক ভট্টাচার্য (রাজা)
নেহরুর ভুত ওদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তাই ওরা নেহরুকে মুছে দিতে চায়। এই কাজ অনেকদিন ধরেই চলছে। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে নেহুরু মিউজিয়ামের নাম বদলানো তাই নতুন কিছু অবাক করেনা আমাদের।
ওদের বলি, যাও আগে দেশের IIT এবং IIM গুলো ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও ভাকরা নাঙ্গাল কিম্বা রিহান্দ বাঁধগুলো, পুড়িয়ে দাও গিয়ে বোকারো স্টিল ; দেখবে তখনো প্রতিটা ধুলিকণা আর হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো ছাই -এর মাঝেও নেহরু আর নেহরু।
ওরা তাই গোটা সংবিধানটাকেই ধ্বংস করতে চাইছে, স্তব্ধ করতে চাইছে ভারতের বহুত্ববাদী, বিজ্ঞানমনস্ক চেতনার নির্যাসগুলোকে, কারণ সেই নির্যাসের ভিতরেই নেহেরুর ভুত দেখেছে সংঘ পরিবার- আর এস এস ও বিজেপি।
যাঁর যৌবনের উপবন কেটেছে ব্রিটিশ কারাগারের অন্ধকারে, যে মানুষটা দেশে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিম্বা শিল্প গড়ার মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন মন্দির – মসজিদ – গির্জার পবিত্রতা সেই মানুষটাকে মুছে দিতে চাইছে ওরা।
নেহরুর জন্মদিনে শিশু দিবস পালন করে জাতি। কিন্তু সেই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আজ।
“যাও, তাকে যেমন করেই হোক খুজেঁ আনো।
সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক।
সে এসে হাততালির উর্ধ্বে গলা তুলে জিজ্ঞাসা করুক;
রাজা, তোর কাপড় কোথায়?”