কেন্দ্র এবং রাজ্যের পারস্পরিক ইগোতে পদপিষ্ট হচ্ছেন বাংলার সাধারণ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই অভিযোগ অনেকদিন ধরেই ক’রে আসছেন। পেট্রোল-ডিজেল, রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ শাক-সব্জির মূল্যবৃদ্ধির সবটাতেই কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েই দায় এড়াতে পারেন না। কিন্তু সেই দায়কে স্মরণে রেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে দুই সরকারই পরস্পরকে দোষারোপের খেলায় মেতে উঠে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তুলছেন। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস পরিচালিত ছত্তিসগড় রাজ্যের কথা স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে। সেখানে এই মুহূর্তে পেট্রোলের দাম ১১১.৪৭ টাকা, ডিজেল-৯৬.৫৮ টাকা; সেখানে পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোল – ১১৫.১২ টাকা, ডিজেল-৯৯.৮৩ টাকা। অর্থাৎ মানুষকে এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে যখন কংগ্রেস বদ্ধপরিকর, সেখানে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্রেফ দোষারোপ করেই দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেখতে পেলেন রাজ্য মন্ত্রীসভার প্রথম সারির মন্ত্রীরা নিয়ম করে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে সি বি আই জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন কিম্বা তদন্ত ও জেরা এড়াবার জন্য নানা ছল-কৌশলের অবলম্বন করছেন। পরিস্থিতি এতটাই খেলো হয়ে গেছে যে, রাজ্যের গর্ব এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে ট্রেনে – বাসে হাসি-ঠাট্টা এবং মিম তৈরি হচ্ছে। এ লজ্জা কেবল শাসকদলের নয়, রাজ্যবাসী হিসাবে আমাদের সবার লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় পরিত্রাণের পথ খুঁজে বের করতে হবে সাধারণ মানুষকেই। গড়ে তুলতে হবে গণ আন্দোলন, সেই আন্দোলন উঠে আসবে মানুষের ভিতর থেকেই।
একদিকে হেঁশেলে আগুন অন্যদিকে দুর্নীতির পাঁক–এই দু’য়ের থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে কংগ্রেস বদ্ধপরিকর।