শুভ মিত্রের প্রতিবেদন, ১২ জুনঃ
১০ জুন বেশ কয়েকটি রাজ্যে হয়ে গেল রাজ্যসভার নির্বাচন। রাজস্থান,কর্নাটক, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে এই নিয়ে উত্তেজনাও কম ছিল না।এই চারটে রাজ্যে ১৬ টি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিল ১০ জন।তার মধ্যে জয়ী হয়েছে ৯ জন।নির্বাচনের দিন রাজস্থান ও কর্নাটকে ফল ঘোষনা করা হলেও বাকি দুই রাজ্যের ভোট গণনা শেষ হতে পরের দিন গড়িয়ে যায় বেশ কিছু বিতর্কের ফলে।
রাজস্থানে চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জয়ী হয় তিনটি আসনে।রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা,মুকুল ওয়াসনিক ও প্রমোদ তেওয়ারি জয়ী হন। পরাজিত হন বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র। রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সামনে বিজেপির অর্থ খরচ করে ভোট কেনার চেষ্টা বিফলে গেছে।বিজেপি বিধায়ক শোভারানী কুশওয়াহাকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি।বিজেপি চেষ্টা করেছিল ট্রাইবেল পার্টির দুই বিধায়ককে অনুপস্থিত করিয়ে ভোটে জেতার।তা বানচাল করে দেন গহলৌত।১৩ জন নির্দল বিধায়কের মধ্যে ৯ জনই ভোট দেন কংগ্রেস প্রার্থীকে।
কর্নাটকে চারটি আসনের মধ্যে একটিতে জিতেছে কংগ্রেস প্রার্থী জয়রাম রমেশ।কিন্তু জেডিএস কংগ্রেস প্রার্থী মনসুর আলি খানকে সমর্থন না করে নিজেরা প্রার্থী দেওয়ায় বিজেপি একটা বাড়তি আসনে জয়ী হয়।
হরিয়ানায় কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেন পরাজিত হলেন এক কংগ্রেস বিধায়কের ক্রস ভোট করায়।তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।উক্ত বিধায়ক ভোট দিয়েছিলেন বিজেপি – জেজেপি (জননায়ক জনতা পার্টি) সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জেসিকা লাল হত্যাকান্ডের কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্ত জেলবন্দী মনু শর্মার দাদা কার্তিকেয় শর্মাকে। আবার জেজেপির দুই নেতা বাবা ছেলে ওমপ্রকাশ চৌটালা ও অজয় সিং এখন জেলে।তাদের সঙ্গেই জোট বেধেছে বিজেেপি।
মহারাষ্ট্রে ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি জিতেছে মহা বিকাশ আঘারী জোটের প্রার্থী ইমরান প্রতাপগড়ি( কংগ্রেস),প্রফুল্ল প্যটেল( এনসিপি) ও সন্জয় রাউত(শিবসেনা)।তবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠ্যাকারে হয়তো একটু আগে থেকে উদ্যোগ নিলে তাদের দ্বিতীয় প্রার্থী সন্জয় পাওয়ারও জিততে পারতেন।কারণ ছোট দল ও নির্দল প্রার্থীদের ভোট বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে।
এই নির্বাচন প্রমাণ করল বিরোধী দলগুলির মধ্যে কংগ্রেসের ধারে কাছে কোন দলই নেই। আর বিজেপির বিরুদ্ধে জয়ী হতে গেলে বিরোধীদের আরও বেশী করে জোটের প্রতি সহনশীল হতে হবে ও সেটা সম্ভব হবে কংগ্রেসের নেতৃত্বেই।