নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৯ শে জুলাইঃ
কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদরা শুক্রবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে স্মৃতি ইরানি কান্ডে স্পিকারের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করলেন। অধীর বাবু তাঁর লেখা চিঠিতে বৃহস্পতিবার লোকসভার মধ্যে যেভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সহ বিজেপির পুরুষ সাংসদরাও কংগ্রেস সভানেত্রী সাংসদ সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন তার উল্লেখ করে অবিলম্বে সংসদের চলতি অধিবেশন থেকে স্মৃতি ইরানি সহ এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদদের সাসপেন্ড করার দাবি জানান। শুধু তাই নয় সমস্ত ব্যাপারটি সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠানোরও দাবি জানিয়েছেন অধীর বাবু।
উল্লেখ্য নজিরবিহীনভাবে একজন বর্ষীয়ান নেত্রীর সাথে বৃহস্পতিবার স্মৃতি ইরানি যে দুর্বব্যহার করলেন তা ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। স্মৃতি ইরানির আচরণ বলে দেয় তিনি কোন সভ্যতার প্রতিনিধি করেন।
Vi২৮ শে জুলাই সংসদে সোনিয়া গান্ধী বিজেপির সাংসদ রমা দেবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন।হঠাৎই স্মৃতি ইরানি তাঁদের কথার মধ্যে অযাতিতভাবে মাথা গলিয়ে কিছু আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহার করেন।সোনিয়াজি তাকে প্রত্যুত্তরে বলেন যে তিনি রমা দেবীর সঙ্গে কথা বলছেন, স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলার বা তার অসভ্যতার জবাব দেওয়ার কোন ইচ্ছা তার নেই।একথা শোনার পর মন্ত্রী চিৎকার করে বলে ওঠেন ” জানেন আমি কে?” একথা শুনলেও হাসি পায়। স্মৃতি ইরানি কি জানেন সোনিয়াজির পারিবারিক ইতিহাস বা তাঁর শ্বশুরকুলের গৌরবজনক ইতিহাস? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে কেউ কেউ বলেছেন, হয়তো তিনি ছোটবেলায় সেভাবে শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পান নি,কিন্তু যখন বেশ কয়েকবছর সাংসদ হয়েছেন ও এখন মন্ত্রীত্বে রয়েছেন তখন কিছুটা তো দেশের ইতিহাস তাকে জানাতেই হবে।নাহলে তো তার চুপ করে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।