নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
এবার বাজেটের ঠিক আগের দিন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক কোন আমানত জমা নিতে পারবে না। তার সাথে সংস্থাটির অধিকাংশ পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে যে এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার নিয়ন্ত্রণবিধি ও পরিচালনার নিয়ম লঙ্ঘন করে আসছে। এর আগে ১১ মার্চ ২০২২ সালে নতুন গ্রাহকভুক্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এবারের নির্দেশ অনুযায়ী এই ব্যাঙ্ক ঐদিন থেকে কোন ঋণ দিতে পারবে না।লেনদেনও করতে পারবে না ওয়ালেট,ফাস্ট্যাগ ইত্যাদির মত পরিষেবাগুলিও। উল্লেখ্য যে রাহুল গান্ধী অনেক আগেই পেটিএম সম্পর্কে বলেছিলেন যে এই সংস্থাটি জালিয়াতি করছে। তিনি এও বলেছিলেন পেটিএম মানে পে টু মোদী।
আজ এই জালিয়াতি দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি কত দূরদর্শি ছিলেন। এই প্রসংগে এআইসিসি মুখপাত্র শ্রীমতি সুপ্রিয়া শ্রীনেতে সাংবাদিক সম্মেলনে নীচের বিষয়গুলি সামনে নিয়ে আসেন।নোটবন্দীর ঠিক দু’দিন পরই ১০ নভেম্বর’২০১৬ দেশের দেশের বড় বড় সংবাদপত্রে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে Paytm সারা পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো।এই বিজ্ঞাপনে নরেন্দ্র মোদি নোটবন্দী করে কত দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে তার জন্য মোদির প্রশংসাও করা হয়েছিলো। এই Paytm- ই নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি সিনেমার টিকিট কাটলেই ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক দিয়েছিলো। এর প্রচার মোদিজি তাঁর নির্বাচনী জনসভায় পর্যন্ত করেছিলেন।এই সেই Paytm এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মা যে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সেলফিও তুলেছিলো। যে নরেন্দ্র মোদির নোটবন্দী দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই নোটবন্দীকে যক্ষের ধনের মতো ব্যবহার করে এই Paytm গত ৮ নভেম্বর’২০২১ সালে নিজের IPO বাজারে এনেছিলো।
“এবারে যে কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এত বড় পদক্ষেপ নিল তার কারণ হিসাবে যা জানা গেছে তা হল
★”রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ৩৫ কোটি Paytm ওয়ালেটের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে, তাদের মধ্যে ৩১ কোটি Paytm একেবারে নিস্ক্রিয়।
★ একই PAN কার্ডের সঙ্গে হাজারটা অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক পাওয়া গেছে।
★ লাখ লাখ অ্যাকাউন্টের কোনো KYC নেই।
★ ব্যাঙ্ক থেকে লাগাতার মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছিল।
Paytm তাদের কাছে থাকা তথ্য BJP’ র সঙ্গে শেয়ার করে নেয়– এমন অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছিলো।এর আগে অনেকবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক Paytm পেমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং Paytm এর মধ্যেকার লেনদেনের ডেটা ট্রাফিক সম্পর্কে চিন্তা ও সংশয় প্রকাশ করেছিলো। কিন্তু Paytm এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিজয় শেখর শর্মা এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
Paytm সমস্ত নিয়ম-কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। কারণ সাপ কেটেছে মাথা তাগা বাঁধবে কোথা?”