এ সোনার সাথে সেই পাঁচ কেজি সোনার তফাৎটা লিফটের সাথে পর্বতারোহণের…লিখছেন ঈশিতা আচার্য্য
শুরুর থেকে জানতে হলে আমাদের চলে যেতে হবে হাওড়া-তে।দেওলপুর গ্রামের শিউলি পরিবারে…
রিকশাচালক বাবা অনেক ছোটোবেলায় মারা যান। দুই ছেলেকে নিয়ে মায়ের শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই।
ছোটো একটি পোল্ট্রি খামার আর সেলাই করে কোনোমতে কষ্টে দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল। বড়ো ছেলের ছোটো থেকেই খেলার প্রতি ঝোঁক,জিমে গিয়ে ভারোত্তোলন শুরু করলেও আর্থিক অনটন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।শেষে সংসারের হাল ধরতে ভারোত্তোলন ছেড়ে মায়ের সাথে সেলাইয়ের কাজে হাত লাগাতে হয়।
দাদার দেখাদেখি ছোটোভাই অচিন্ত্য বারো বছর বয়সে জিমে ভর্তি হয়।এরপর কেটে গেছে আটটা বছর। আর্থিক দুরাবস্থা,অপুষ্টি ও অসফলতার বেড়াজাল কাটিয়ে শুধুমাত্র ভালোবাসা ও একাগ্রতার বশে সাফল্য আসতে বাধ্য হয়েছে!
ভারোত্তোলনে জেলা,রাজ্য,দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক কমনওয়েলথ গেমস ২০২২ র মঞ্চে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে বঙ্গসন্তানের সোনা জয়।
৭৩কেজি পুরুষের ভারোত্তোলনে অচিন্ত্য শিউলির মোট ৩১৩ কেজির ( ১৪৩কেজি স্ন্যাচ + ১৭০কেজি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক) লিফ্ট ভারতকে এনে দিয়েছে ষষ্ঠ পদক তথা তৃতীয় স্বর্ণপদক।
পদক জয়ের পর উচ্ছসিত অচিন্ত্য জানালেন,”গোল্ড মেডেল উৎসর্গ করলাম দাদা আর আমার কোচকে”।
জীবনও তার কাছেই মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়,যে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে।
নামটা মনে রাখবেন, অচিন্ত্য শিউলি।।।
ছবি-সংগৃহীত