নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ–অধীর চৌধুরীর দীর্ঘ লড়াইয়ের সুফল পেতে চলেছেন বাংলার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদন,২১ শে অগাস্টঃ

১৮ বছর ধরে লড়াই করার পর জয় ছিনিয়ে আনলেন জননেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজের অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করার সবুজ সংকেত এসে পৌছে মুর্শিদাবাদের জেলা শাসকের কাছে। ১৮ বছর বললেও ভুল বলা হয় ; ১৯৯৬ সাল থেকেই নশিপুর থেকে জিয়াগঞ্জ থানা এলাকার আজিমগঞ্জ মাহিনগর পর্যন্ত ভাগীরথী নদীর উপর এই রেল ব্রীজ নির্মাণের জন্য লড়াই করে চলেছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পাব্লিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী জানান, ১৯৯৬ সালে স্থানীয় বাসিন্দা জনৈক এ. আর. খান একটি ছবি নিয়ে অধীর বাবুর সঙ্গে দেখা করে বলেন যে, ওই জায়গায় আগে একটি ব্রিজ ছিলো। সেই সময়কার রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন ভক্তকে অধীর বাবু সমগ্র বিষয়টি জানিয়ে পুনরায় ওইখানে ব্রিজ নির্মাণের আবেদন জানান। তারপর কখনো নীতিশ কুমার, কখনো লালু প্রসাদ যাবদ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অধীর বাবু নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এই ব্রিজ তৈরির জন্য যাবতীয় দরবার-উদ্যোগ নিতে থাকেন। অবশেষে ২০০৪ সালে ব্রিজটি নির্মাণের অনুমোদন মিললেও ১৮ বছর ধরে জমি জটিলতায় আটকে আছে প্রকল্পটি। স্থানীয় মানুষজন, কৃষক এবং ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য হলো,মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলার মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী এই রেল ব্রিজ নির্মাণ হলে ওই এলাকার অর্থনীতি, ব্যবসা-বানিজ্য সব কিছুতেই তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। গত শনিবার রেল কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে যখন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ব্রিজ নির্মাণের এলাকা পরিদর্শনে যান তখন এলাকার সাধারণ মানুষ এই প্রকল্প দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য অধীর বাবু র কাছে আবেদন জানান। মাত্র সাত একর জমির জন্য এই ব্রিজের কাজ থমকে আছে আজ পর্যন্ত। এ বিষয়ে বারবার বলার পরেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ এতদিন নেওয়া হয়নি বলেও অধীর বাবু আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। অধীর বাবু বলেছেন, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলার মানুষ এই ব্রিজ চালু হলে অনেক কম সময়ে উত্তর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন, এর ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান, চাঙ্গা হবে স্থানীয় অর্থনীতি। ওদিকে মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলার জেলার মানুষের কাছে এই বহু প্রতীক্ষিত নশিপুর-আজিমগঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের কাজ পুনরায় চালু হওয়ার খবর পৌঁছানোর পর সেখানেও খুশির হাওয়া ; তাঁদের বক্তব্য অধীর চৌধুরীর হাত ধরে বাংলায় দীর্ঘদিন বাদে প্রকৃত অর্থেই একটা ঐতিহাসিক উন্নয়নের কাজ বাস্তবে রূপ নিতে চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *