অমিতাভ সিংহ-এর প্রতিবেদন, ২৮ শে ডিসেম্বর”২২ঃ
২৮ ডিসেম্বর’২২, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ১৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষকী। সেই পূণ্য দিনে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে শুরু হয়ে গেলো ২৭ দিন ব্যাপী ৮০০ কিলোমিটার পথ পদযাত্রা;রাহুল গান্ধীর সাড়ে তিন হাজার কিমি এর ভারত জোড় যাত্রার মিনি সংস্করণ। ১০ টি জেলা পরিক্রমা করবে এই পদযাত্রা। পুরো পথ হাঁটবেন তিরিশ জন পদযাত্রী। বুধবার সকাল সাড়ে ন’টায় সাগরদ্বীপে কপিলমুনির আশ্রম থেকে এই যাত্রা শুরু হয়।রাজ্য কংগ্রেসের জন্য এ আই সি সি নিযুক্ত পর্যবেক্ষক সাংসদ এ.চেল্লাকুমার গঙ্গার জল কলসে নিয়ে কপিল মুনি মন্দিরে আসেন।পরে সভাপতি অধীর চৌধুরী ও এই কর্মসূচীর সভাপতি এই কলস স্পর্শ করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সামনে আসেন এবং তাঁর নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু হয়। প্রথম দিনে দুই পর্বে মোট বাইশ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন পদযাত্রীরা। কপিল মুনি মন্দির থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত এই পদযাত্রা চলাকালীন রাস্তার দু’ধারের মানুষজন যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তা সত্যিই ছিলো চোখে পড়ার মতো। পথ চলতি মানুষ, স্কুল পড়ুয়া, গৃহবধূরা পদযাত্রার মধ্যে ঢুকে পড়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে করমর্দন করেন, সেলফি তোলেন। পদযাত্রার মধ্যাহ্ন বিরতির সময় অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, এ.চেল্লাকুমার রা মহেন্দ্রগঞ্জের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে যান। সেখানে তাঁদের সম্বর্ধিত করা হয় ভারত সেবাশ্রমের পক্ষ থেকে। সেখানে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন অধীর চৌধুরী এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতাও করেন তা়ঁরা। দ্বিতীয় পর্যায়ের যাত্রার শেষে কচুবেড়িয়ায় এক পথ সভায় বক্তব্য রাখেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, এ চেল্লাকুমার সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব। পুরো পদযাত্রায় হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতৃত্ব এবং কংগ্রেসের সমস্ত শাখা সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা।মোট ১০ টি জেলা এপর্যায়ে পরিক্রমা করবে এই যাত্রা। প্রতিদিন এই যাত্রায় যোগ দেবেন কয়েকহাজার পদযাত্রী। কলকাতায় এই পদযাত্রা প্রবেশ করবে আগামী বছরের দ্বিতীয় দিনে।