নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি, ২১শে জুলাইঃ
আজ দিল্লীর রাজপথ উত্তাল কংগ্রেসের বিক্ষোভে।যে মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত কয়েকবছর আগেই রেহাই দিয়েছে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে,সেই মামলায় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি বিরোধী রাজনীতির প্রধান মুখ সোনিয়া রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসকেই মূল টার্গেট করে তাদের চরিত্রহনন করতে চাইছে। আসলে গত কয়েকবছর বিজেপি সরকারের অকর্মণ্যতা ও দেশচালনায় সার্বিক ব্যর্থতা প্রকট হচ্ছে,অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়া,ক্রমবর্দ্ধমান বেকারত্ব,পেট্রপণ্যসহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধি,কৃষকবিরোধী ও জনবিরোধী আইন ও কাজের ধামাচাপা দিতে আজ বিজেপি বেছে নিয়েছে এই পথ।শুধু কংগ্রেসই নয়,সমস্ত বিরোধী দলগুলির নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি,আয়কর লেলিয়ে দিয়ে তারা ইতিমধ্যে কিছু সাফল্য নিশ্চয় পেয়েছে।তার একটি প্রমাণ দেখা গেছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।দেখা যাবে আগামী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও। বিজেপির মনোনীত প্রার্থীকে জেতাবার জন্য কতরকম ছলনা চলবে।কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল প্রতিষ্ঠান জাতীয় কংগ্রেস এসব চোখরাঙানিতে কখনও ভয় পায়নি বা আজও পাবে না এই প্রতিশ্রুতি দেশের মানুষ এতদিনে নিশ্চয় পেয়ে গেছে।
গত ২৩ জুন ইডি প্রথমবার সোনিয়া গান্ধীকে ডেকে পাঠালেও তখন তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারনে হাজির হতে পারেন নি।তারপর পাঁচদিনে পঞ্চাশঘন্টা ইডির দপ্তরে জেরা করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।কিন্তু অবিচল এই তরুণ নেতাকে কখনো বিরক্ত হতে বা ভয় পেতে দেখা যায় নি।কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন, তাদের বিভিন্ন থানায় আটকে রাখা হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা।এক কণা খাবার তো দূরের কথা এক ফোঁটা জল পর্যন্ত দেওয়া হয় নি।এযেন ব্রিটিশ আমল।এবারেও কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব,সংসদীয় দলের নেতা ও ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যসহ পুরো নেতৃত্ব কংগ্রেস সেবাদলের কর্মীদের সাথে ধর্ণায় বসেছিলেন। কিন্তু শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদ আন্দোলন সহ্য হয় নি বিজেপি নেতৃত্বের।
গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে স্বৈরাচারী শাসকের মুখ আজ দিনের আলোর মত স্পষ্ট।সংসদীয় নেতাদের আটক করা হলো ;পি চিদাম্বরম,অধীর চৌধুরী,শশী থারুর,শচীন পাইলট প্রমুখদের পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে । সবার খবর এখনো পাওয়া যাচ্ছে না
আজ সকালেই কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খার্গের আহ্বানে সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীনেতাদের হয়রানির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করে তীব্র সমালোচনা করা হয়।সিপিএম,সিপিআই,ডিএমকে,এনসিপি,শিবসেনা,আরজেডি,আরএসপি,ইন্ডিয়ান মুসলীম লীগ এমনকি বিজেপির দোসর বলে পরিচিত তেলেঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতির সাংসদেরাও এই প্রস্তাবে সই করেন। উল্লেখ্য তৃণমূলের কেউ এখানে সই করেননি। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বিরোধী নেতাদের টার্গেট করেছে ও হয়রান করছে। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন- জনবিরোধী, কৃষকবিরোধী, সংবিধান কাঠামো ধ্বংসকারী এই ফাসিস্ত সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামতে হবে একসাথে।