রাহুল গান্ধিকে রাস্তায় আটকানো হল,গ্রেপ্তার করা হল অধীর চৌধুরীকে* দেশজুড়ে মুল্যবৃদ্ধি , বেকারি , গণতন্ত্র বিপন্ন : দেশ চালানো হচ্ছে কয়েকটি কর্পোরেট পুঁজিপতি পরিবারের স্বার্থে — রাহুল গান্ধি
শুভ মিত্রের বিশেষ প্রতিবেদন
দেশজুড়ে ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারী , অগ্নিপথ প্রকল্প, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর যুক্তিহীন ও অস্বাভাবিক হারে জি.এস.টি চাপানো, কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের দূর্নীতিসহ জনবিরোধী কাজের প্রতিবাদে আজ প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে কংগ্রেসের উদ্যোগে। দিল্লীতে কংগ্রেস সাংসদরা রাষ্ট্রপতি ভবনে মিছিল করে যাবেন মাননীয়া রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদ জানাতে। আর কংগ্রেস কর্মীরা যাবেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিদুটি দিল্লি পুলিশ হতে দেবেনা বলে জানিয়ে দেয়। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভিযানে আসা বিপুল সংখ্যক কংগ্রেস সমর্থককে আটকানোর জন্য বিরাট সংখ্যক পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানকে দিয়ে , ব্যারিকেড করে অভিযান আটকানো হয়।প্রকৃতপক্ষে গত ৩ তারিখ থেকে আকবর রোডের কংগ্রেস দপ্তর , ১০ জনপথে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধির বাসভবন ও তুঘলক রোডে রাহুল গান্ধির বাসভবন পুলিশ ও সি.আর.পি অবরোধ করে রেখেছে।
আজ আকবর রোডে কংগ্রেস দপ্তরে রাহুল গান্ধি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কংগ্রেসের এই প্রতিবাদকে ভয় পেয়েছে। আর তাদের ভয় যত বাড়ছে ততই তারা কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে।রাহুল বলেন, তারা বুঝতে পারছেনা যে এই আক্রমণ তারা চালাচ্ছে জনসাধারণের ওপর , কেননা কংগ্রেস জনগণের দাবির পক্ষে লড়ছে। বর্তমানে দেশে তানাশাহী চলছে। সংসদে কথা বলার সুযোগ বন্ধ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা বন্ধ । সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বিপর্যস্ত।গতকাল সংসদ চলাকালীন রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খার্গেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ইডির জেরা প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা আজ কতটা ভয় পায় কংগ্রেস দলসহ বিরোধীদের। রাহুল গান্ধী বলেন ‘ যে ভয় পায় সেই আজ অন্যদের ভয় দেখাচ্ছে।’ ভীত সন্ত্রস্ত শাসকদের অস্ত্র অন্যদের চোখ রাঙিয়ে ভয় দেখানো। রাহুল বলেন শুধু আমায় নয়, বিরোধীদের সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না।সেখানে আলোচনার কোন সুযোগই নেই। এই সরকার অতি ধনী পুঁজিপতিদের মিত্র। তার মধ্যে আবার দুজন সবচাইতে বেশি সুবিধাভোগী। কর্পোরেট মিত্র।আর দুজন তাদের এই সুবিধা বিতরণ করে চলেছে।
‘ হাম দো হামার দো।’ ভারতে স্বাধীনতার পর সংবিধান প্রণয়ন ও তার ভিত্তিতে ৭০ বছর ধরে যে গঠনমূলক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল , দেশকে শক্তিশালী করা হয়েছিল তা গত ৮ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে। স্বাধীন ও স্বশাসিত সংস্থাগুলি আজ বিজেপি – আরএসএস নিয়ন্ত্রিত ও বিলুপ্তির মুখে।
বর্তমান সময়ে সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।দুএকটি বাদে বাকীরা হয় গোদী মিডিয়ার অংশ অথবা বিভিন্ন কারণে সাহস দেখাতে পারছে না।গত জুন জুলাই মাসে ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বেরোজগারির ফলে দেশের মানুষ আজ বিপন্ন।যার হাত আছে তার কাজ নেই।যার কাজ আছে তার ভাত নেই।যার ভাত আছে তার কাজ নেই।এই হচ্ছে আরএসএস বিজেপির আধুনিক ভারত।