“আমাদের নেত্রী শ্রীমতি সনিয়া গান্ধি আন্তরিক ভাবে দেশের প্রত্যেক তরুণের কাছে আবেদন রেখেছেন যে তাঁরা যেন হিংসার পথ ত্যাগ করে সম্পূর্ণ অহিংস ভাবে মোদী সরকারের এই দিশাহীন ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিষয়ে তাঁদের প্রতিবাদকে সংগঠিত করেন। তাঁর এই সদুপদেশকে মান্যতা দিয়ে আজ আমরা এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সকলে সামিল হয়েছি। আজ আমাদের নেতা শ্রী রাহুল গান্ধির জন্মদিন। তাঁর প্রতি আমাদের সকল শুভেচ্ছা থাকলেও, তিনি আজ আমাদের তাঁর এই জন্মদিন পালন না করতে অনুরোধ করেছেন, কারন আমাদের দেশের তরুণরা আজ অশান্তি, দুঃখ এবং অস্থিরতার মধ্যে আছে। আমাদের নেতা শ্রী রাহুল গান্ধি এই তরুণদের সাথে আছেন।
সেনাদের সাথে আমাদের এক আবেগময় সম্পর্ক। সেনাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি, সেনাদের আমরা বিশ্বাস করি। আজ আমাদের তরুণরা যারা সেনাবাহিনীতে যোগদান করার স্বপ্ন দেখছে, মোদী সরকার তাদেরকে বঞ্চিত করছে। এর বিরুদ্ধে তরুণদের এই আক্রোশকে যথার্থ বলে মনে করি এবং তাদের সাথে থাকা আমরা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। আমাদের সেনারা বলেন, আমাদের স্বাধীনতাকে কখনো লজ্জ্বিত হতে দেব না, শহীদের আত্মবলিদান অসম্মানিত হতে দেব না, শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকলেও ভারতমাতার আঁচলকে নিলাম হতে দেব না। আমাদের দেশের তরুণরা এই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে যখন কঠোর পরিশ্রম করছে, তখন তাদের এই স্বপ্নকে চুরমার করে দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীতে প্রত্যেক প্রদেশের অংশীদারিত্বকে সরিয়ে দিয়ে মোদী সরকার দেশের ফেডারেল পরিকাঠামোকে বিনষ্ট করছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, তিনি যেন আন্দোলরত তরুণদের সাথে কথা বলে তাদের মতামত জানেন। ‘মিডিয়ার সামনে ফৌজি প্রধানদের কেন ‘প্যারেড’ করাচ্ছেন! আপনি নিজের ইচ্ছেমত যা খুশি সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের সর্বনাশ করছেন, কারো সাথে কথা না বলে। তাই আমরা তরুণদের সাথে আছি এবং থাকবো।
”’অনুলিখনঃশুভাশিস মজুমদার।