অমিতাব সিংহের প্রতিবেদন
আগামীকাল থেকে শুরু হবে কংগ্রেসের অধিবেশন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মীরা ট্রেন,বাস বা বিমানযোগে রায়পুরের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছেন।কয়েকদিন আগে ছাত্রিশগড়ের কয়েকজন কংগ্রেস নেতার বাড়ী আয়কর হানা দিয়ে এই অধিবেশনের ওপর আক্রমন শুরু হয়েছিল।গতকাল থেকে বিভিন্ন রেল স্টেশনে রেল অবরোধ। এমনকি এই ঘটনা রৌলকেল্লা স্টেশন থেকে ফেসবুক লাইফ করার জন্য রাজ্য কংগ্রেস সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধানকে বাধাদান। আার আজ জাতীয় কংগ্রেসের মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান পবন খেরা রায়পুরে যাবার জন্য আরো অনেক নেতার সঙ্গে দিল্লীতে ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে ইন্ডগোর বিমানে চেপেছিলেন।তখন অসম পুলিশ মিথ্যা কথা বলে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে।কোন ওয়ারেন্ট না থাকা সত্বেও স্রেফ গায়ের জোরে তাকে আটক করে ১২০বি,১৫৩এ,১৫৩বি(১),৫০০, ৫০৪ ও ৫০৫(১ ও ২) ধারায় মামলা দায়ের করে।কি কারনে এই আটক? গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেস লোকসভা, রাজ্যসভা ও বিভিন্ন সাংবাদিক সম্মেলনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে মোদীর সাথে আদানীর যোগাযেগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় ছিল।কয়েকটি বিরোধীদল এই অবস্থান সমর্থন করলেও তৃণমূল কংগ্রেস তা সমর্থন না করে কংগ্রেসের প্রতি বিষোদ্গার করে বিজেপিকে প্রকারান্তরে অক্সিজেন জুগিয়ে চলেছে। সেই কারনে পবন খেরাকে বিমানের ভেতর থেকে আটক করল অসমের ডিমা হাসাও থানাতে এফআইআরে করা অভিযোগে।অসম পুলিশ উক্ত বিমানটিকে উড়তে বাধা দেয়।কংগ্রেস নেতারা টারমাকে বিক্ষোভ দেখান।এরপর সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে পবন খেরাকে জামিন দেওয়া হয়।অসম পুলিশের এই আচরন নতুন কিছু নয়।গত এপ্রিলে গুজরাটের নেতা জিগ্নেশ মেবানীকে ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যের উন্নয়ন বা কর্মসংস্থান না করে মেতেছে জাতভিত্তিক বিভাজনে,আর মোদী বা অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র সমালোচনা হলেই তাকে দেশবিরোধীতা বলে দেগে গায়ের জোর ফলানো।আসলে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় যাত্রা পর থেকে বিজেপি তথা মোদী শাহ যে চাপে রয়েছেন তারই বহিপ্রকাশ এইসব ভুলভাল পদক্ষেপ।