নিজস্ব সংবাদদাতা,চ্যাংড়াবান্ধাঃ
আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য বাঁচানোর স্বার্থে আজ আই এন টি ইউ সি’র উদ্যোগে চ্যাংড়াবান্ধায় প্রথম দফায় ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনগুলির সঙ্গে বৈঠক এবং বিকালে চ্যাংড়াবান্ধা বাজারে মিছিল ও প্রকাশ্য সমাবেশে অংশ নেন পশ্চিম প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় এবং অশোক ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য আই এন টি ইউ সি’র সাধারণ সম্পাদক মণিকুমার দার্নাল, কোচবিহার জেলা আই এন টি ইউ সি’র সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার, মেখলিগঞ্জ আই এন টি ইউ সি’র সভাপতি জাকির হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। চ্যাংড়াবান্ধা একটি বৈদেশিক স্থল বন্দর। এছাড়া এটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এখান দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের সব বিভিন্ন দেশের মানুষ যাতায়াত করে, প্রায় ২৫ বছর আগে চালু হওয়া ব্যবসা-বাণিজ্যের পরাধি ভীষণ ভালো ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে এই জায়গা দিয়ে রপ্তানির পরিমাণ কমতে থাকে এবং অন্য সীমান্ত বন্দর দিয়ে সেগুলো যাওয়া আসা করে যার ফলে আমদানি ও রপ্তানি কারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়, পাশাপাশি আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা প্রায় আজ পাঁচ হাজার ট্রাক করোনা কাল থেকে বসে আছে। করোনাকালে এঁদের ট্যাক্স মকুব যেমন করা হয়নি পাশাপাশি সেই ট্যাক্সের উপর জরিমানা চাপিয়ে ট্রাক মালিকদের বিপদের মধ্যে পড়তে হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহার হওয়ার ট্রাক এর উপর রাজ্য সরকার সুবিধা অ্যাপস চালু করেছে। দেখা যাচ্ছে সেখানে উত্তরবঙ্গের ট্রাকের অ্যাপস এর মাধ্যমে সরকারকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হয়, আবার বাইরের রাজ্যের ট্রাকের জন্য সেই টাকা মাত্র তিন হাজার টাকা। যার ফলে স্থানীয় ট্রাক মালিকরা তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে কারণ তাদের অতিরিক্ত কর দিয়ে বাইরের রাজ্যের ট্রাকগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং তাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে, এই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদকারীদের পুলিশি হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। আবার এই ট্রাকের উপর নির্ভর করে বহু শ্রমিকের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে, পন্য পরিবহন কম হওয়াতে ট্রাক লোডিং – আনলোডিং কাজে যুক্ত শ্রমিকদের কাজও দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আইএনটিইউসির নেতৃত্বে ও কংগ্রেসের সহযোগিতায় একটা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে আজ ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ চাংরাবান্ধায় বৈঠক ও প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।