আত্মাহত্যা নিয়ে মোদীর কুরচিকর মন্তব্য তার মনুষত্বহীনতার পরিচয়

ভারতবর্ষ স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে।সবাই যে দক্ষ বা উচ্চশিক্ষিত ছিলেন তা হয়তো নয়।কিন্তু তাদের কখনও দূর্বল ও মানসিক সমস্যার যারা শিকার হন তাদের নিয়ে ঠাট্টাতামাসা বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় নি। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধু একজন অশিক্ষিত, মিথ্যাবাদী বা ধর্মীয় বিভেদসৃষ্টি করে মানুষের মধ্য দাঙ্গা লাগিয় নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে ক্ষমতায় থাকতে আগ্রহী তাই নয়,তার আত্মাহত্যার মত অতি সংবেদনশীল ব্যাপারে হাসিঠাট্টা করতেও কোন লজ্জা লাগে না।গতকাল গোদীমিডিয়ার একটি অনুষ্ঠানে তিনি একটি চুটকি বলেন,তা হল এক অধ্যাপকের কন্যা সুইসাইড নোট লিখে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার বাবার চোখে পড়ে নোটটি।তখন তিনি তার কন্যার খবর না নিয়ে নোটে লেখা বিষয়বস্তুর বিভিন্ন ভুল বানান ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।এরকম চুটকি আদৌ কেউ কখনও শুনেছেন কিনা জানা নেই,নাকি খোদ প্রধানমন্ত্রী এই নিম্নরুচির ও নিম্নস্তরের চুটকিটির স্রষ্ঠা তা নিয়ে গবেষনা করা যেতেই পারে।কিন্তু একজন মানুষ, বিশেষ করে দেশের একজন দায়িত্ববান নাগরিক বা প্রধানমন্ত্রী হয়ে কিভাবে আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ বিষয় নিয়ে হাসিঠাট্টা করে তিনি কিকরে এতটা অসংবেদনশীলতার পরিচয় দিলেন তা আশ্চর্যের।এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী গত পাঁচবছরে আত্মাহত্যা বেড়েছে ৩৫ হাজার,তা মূলত এই আমলে বেকারত্বসহ নানা সমস্যার জন্য।২০২১ সালে দেশে আত্মাহত্যার সংখ্যা ১,৬৪,০৩৩ জন।তাদের মধ্যে শতকরা ৩৪.৫ বাগই হচ্ছে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবক/ যুবতী। এর অর্থ দেশের যুব সমাজ আজ যথেষ্ট পরিমানে মানসিক অবসাদের শিকার। যুবসমাজের মধ্যে অবসাদ ও আত্মাহত্যা কোন হাসির ব্যাপার হতে পারে না। তাদের সমস্যা সমাধানের ও সচেতনতার দিকে নজর না দিয়ে তাদের নিয়ে যে মস্করা দেশের মহান প্রধানমন্ত্রী করেছেন তা দেশের নাগরিক সমাজ তীব্রভাবে নিন্দা করেছেন।আরে দুঃখের কথা হল মোদী এই নিম্নরুচির অমানবিক চুটকিটি বলে উচ্চকণ্ঠে হো হো করে হাসলেন,তার সঙ্গে গলা মেলালেন সেখানে উপস্থিত তথাকথিত মোদীভক্তরা।প্রশ্ন একটাই, আত্মাহত্যা তথা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয় তামাশা করা কতটা গ্রহনযোগ্য? বিশেষ করে তা যদি হয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা।

সেক্ষেত্রে দেশবাসীর কাছে একটা অতীব ভুল বার্তা যায় না কি? এটা ভুললে চলবে না যে দেশের লক্ষ লক্ষ পরিবার তাদের সন্তান বা নিকটজন হারাচ্ছেন এর ফলে।এই বিপন্ন অংশকে নিয়ে রঙ্গ রসিকতা করা শুধু অমানবিক নয়,অমানুষত্বেরও পরিচয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *