শুভ মিত্র
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যে বিজেপি জেতার পর সংসদে মোদীর ভাষন গণতন্ত্রের পথে এক বিরাট প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেল। তিনি যেভাবে বিরোধীদের ভয় দেখাবার চেষ্টা করলেন তা একমাত্র পাড়ার দাদাদের শোভা পায়।তিনি বললেন বিরোধীদল যদি না বদলায় তাহলে জনতা তাদের ” চুন চুন করে সাফ করে দেবে”। এই বাক্যবন্ধটি শোনা গিয়েছিল এক জনপ্রিয় হিন্দী সিনেমায়। অনেকদিন পর দেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে এই অমৃতভাষণ শুনে মনে হচ্ছে দেশে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না শেষ পর্যন্ত সত্যেরই জয় হয়,একটু দেরীতে হলেও। মজার কথা লোকসভা টিভি নজিরবিহীন ভাবে এই বক্তৃতা সম্প্রচার করল।
যার ফলে আমরা মোদীর মুখ চোখ ও দেহের ভঙ্গীতে এই মাস্তানির প্রকাশ চাক্ষুশ করলাম।তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা হল কোন বিরোধীতা সহ্য করা হবে না।যারা সরকার বিরোধীতা করেছেন তাদের মধ্যে অনেককেই জেলে বছরের পর বছর জেলে বন্দী করা হয়েছে। জেলেই তাদের অনেকে মারা গিয়েছেন। অনেক লড়ার পর কেউ কেউ জামিন পেলেও সরকার নানা অজুহাতে তাদের নানাভাবে হয়রানি করে চলেছে। সংসদে রাহুল গান্ধী আদানি মোদী অশুভ আঁতাত নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাকে সংসদপদ খারিজ করা হয়েছিল। মহুয়া মিত্র একই ধরনের প্রশ্ন করায় তার সংসদপদ নিয়ে টানাটানি চলছে।
মোদী সংসদে প্রবেশ করার পর যেভাবে তার দলের সাংসদ ও মন্ত্রীরা তার নামে দৃষ্টিকটু ভাবে জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন তা সংসদের ইতিহাসে বিরল। আরো বেশী বিরল তা যখন লোকসভা টিভিতে তা দেখাল। গান্ধী জওহরলাল আম্বেদকরের ভারতবর্ষে গণতন্ত্রের স্থান কোথায় তা নিশ্চই বলে দেওয়ার দরকার নেই।