নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
‘কর্ণ কুন্তী সংবাদ’-এ তাঁর কণ্ঠে আমরা শুনেছিলাম —
“মিথ্যা মনে হয়
রণহিংসা, বীরখ্যাতি, জয়পরাজয়।
কোথা যাব, লয়ে চলো।”
-কিন্তু এভাবে পার্থ ঘোষের চলে যাওয়া কেউই মানতে পারছেন না। বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষের প্রয়াণে আক্ষরিক অর্থেই বাংলার সংস্কৃতি জগতে নক্ষত্রপতন ঘটলো। আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হাওড়ার বেসরকারি একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, প্রয়াত শিল্পীর গলায় একটি অস্ত্রোপচার হয়। তিনি সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু হঠাৎই আজ সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। উল্লেখ্য গত বছর অগাস্ট মাসে পার্থ ঘোষের সহধর্মিণী প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষের প্রয়াণ ঘটে। পার্থ ঘোষ-গৌরী ঘোষ যুগল বাংলা বাচিক শিল্পে বিশেষ করে আবৃত্তির জগতে একটা ভিন্ন ঘরানার জন্ম দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় আকাশবাণী কোলকাতা থেকে প্রচারিত ‘,গল্প দাদুর আসর’ একসময়ে পার্থ ঘোষের সাবলীল ও প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় অনন্য মাত্রা পেয়েছিলো।
পার্থ ঘোষের কণ্ঠে ‘কর্ণ – কুন্তী সংবাদ’, ‘বিদায়’, ‘দুঃসময়”দেবতার গ্রাস’-এর মতো কালজয়ী কবিতাগুলির অসাধারণ আবৃত্তি বাংলা বাচিক শিল্পের জগতে এক একটি মাইলস্টোন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, পার্থ ঘোষের অকস্মাৎ প্রয়াণে বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক গভীর শূণ্যস্থান তৈরি হলো।