নিজস্ব প্রতিবেদন, ৬ সেপ্টেম্বরঃ
এবার ভারত জোড়ো যাত্রা’ র সমর্থনে বাংলাতেও পদযাত্রা করার কথা ভাবছে প্রদেশ কংগ্রেস। সূত্রের খবর ১৪৮ দিন ধরে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা চলবে, এরই মাঝে বাংলার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত একই আদলে পদযাত্রা সংগঠিত করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বয়ং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বাংলায় এ ধরনের পদযাত্রায় বিশেষ ভাবে আগ্রহী বলেও সূত্র মারফত জানা গেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া বাংলার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিজের দিল্লির বাসভবনে মিলিত হন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সেখানেই আলোচনাক্রমে বাংলায় এই পদযাত্রা করার কথা উঠে আসে বলেই সূত্র মারফত জানা গেছে।
গত রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লির বঙ্গভবনের সামনে থেকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা প্রায় তিন শতাধিক কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন অধীর বাবু। কিন্তু দিল্লি পুলিশ মাঝপথে সেই মিছিল আটকে দিলে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি ও বচসা হয়। পুলিশ নেপাল মাহাত, অসিত মিত্রের মতো কংগ্রেস নেতাদের এবং কংগ্রেস কর্মীদের পুলিশের গাড়িতে তুলে নেয়। পরে মাঝপথে গাড়ি থেকে নামিয়েও দেয়। তারপর কংগ্রেস কর্মীরা আবার রামলীলা ময়দানের সমাবেশে যোগ দেন।অন্যদিকে রামলীলা ময়দানের সমাবেশে ওদিন রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি অধীর বাবুর বক্তব্য বেশ সাড়া ফেলে দেয়। অধীর বাবু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ” বিজেপি বলত মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, আজ মানুষ বলছে- মোদি হ্যায় তো মেহেঙ্গায়ি হ্যায়”।
উল্লেখ্য কন্যাকুৃমারী থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো যাত্রা’য় অংশ নিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো নেতারা কন্যাকুমারী পৌঁছে যাচ্ছেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যে শতাধিক মানুষ গোটা পদযাত্রায় হাঁটবেন বলে ঠিক হয়েছে সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলা থেকে পূজা রায় চৌধুরী এবং কিরণ ছেত্রীর মতো যুবনেত্রীরা। অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন ভারত জোড়ো যাত্রা’কে সফল করতে কোমর বেঁধে নামছেন বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা।