নিজস্ব সংবাদদাতা,১৭ আগষ্ট:
বহরমপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন যে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত গোরু পাচার যে হয় তা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন এবং তার ভিডিও তিনি হিন্দীতে অনুবাদ করে প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলেন।তাঁর কথায় মুর্শিদাবাদ সীমান্ত সহ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে এই পাচার দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই চলছে,এটা নতুন কোন ঘটনা নয়।হাজার হাজার মানুষ এটাকেই রুটি রুজির চোরা পথ হিসাবে বেছে নিয়েছে।এর ফলে রাজ্যের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে।এই ব্যবস্থার ফলে কয়েকজন ব্যক্তি লাভবান হচ্ছে।তারা স্মাগলার হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে।বাংলাদেশের সাথে অবাধ বাণিজ্য দরজা খোলা হলে বাংলার বহু মানুষকে আর স্মাগলিং করতে হবে না বা স্মাগলার পরিচয়ে বাঁচতে হবে না।অধীর বাবু অভিযোগ করেছেন ২৪ পরগনা,থেকে কুচবিহার থেকে আসাম বর্ডার পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধানে, মদতে ও ভাগাভাগিতে এই গোরু পাচারের ব্যবসা চলে।দুর্ভাগ্যের বিষয় কেন্দ্র বা রাজ্য তা বন্ধ করতে কোন পদক্ষেপ নেয় নি।খাগড়া বাজারে ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক করে দেওয়া নিয়ে তিনি সেখানকার কাঁসা ও পেতল ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে বলেন সরকারের পুলিশবাহিনী সিভিক পুলিশের মাইনে দিতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সর্বনাশ করে দিচ্ছে।এর ফলে একদিক দিয়ে গাড়ী খাগড়া বাজারে ঢুকতে পারছে না,গাড়ী রাখার জায়গা না মেলার জন্য ক্রেতারা বাজারমুখো হচ্ছেন না।যারা আসছেন তাদের কাছে ফাইন আদায় করা হচ্ছে সিভিকপুলিশদের বেতন দেওয়ার টাকা তুলতে।ফলে ব্যবসায়ীরা পূজার মুখে মার খাচ্ছেন। আর ওদিকে মোদীসরকার মুড়ি, আটার ওপর জিএসটি বসিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছেন।দুটো সরকার যে একইরকম জনবিরোধী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বলেও তাঁর অভিমত।