এ যেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই চলছে। আন্দোলনকারী কংগ্রেস নেতা-সাংসদদের কোনো কারণ না দেখিয়ে মাঝ রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রাখা হচ্ছে। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সাংসদ কে.সি.বেনুগোপাল সহ তাবৎ কংগ্রেস নেতাদের সারাদিন এক ফোঁটা জল পর্যন্ত দেওয়া হলোনা থানায়। পি.চিদাম্বরমের মতো প্রবীণ সাংসদকে মোদি-শাহের পুলিশ মেরে বুকের পাঁজরে চিড় ধরিয়ে দিলো। স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলোতে এভাবেই আন্দোলনকারীদের উপর ব্রিটিশ পুলিশ পশুদের মতো আচরণ করতো। আজ ব্রিটিশ চলে গেছে ৭৫ বছর হলো। আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছরের ‘অমৃত মহোৎসব ‘ পালন করছি; কিন্তু ব্রিটিশদের লেজুড় বৃত্তি করা শক্তি আজ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠে একইভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাধীনতার অধিকারকে পায়ে পিষে চলছে।
সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির অফিসের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে দিল্লির বাইরে অজানা ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হলো কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্বকে।
মোদিজি স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছেন, অথচ দেশের মানুষের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন। বিপন্ন মৌলিক অধিকার।
ফাসিস্ত শক্তি নাক বরাবর চলে; ডানে-বামে, সামনে পিছনে তাকাবার তার সময় থাকেনা। আজ দেশের সব থেকে বড় ফাসিস্ত শক্তি বিজেপি ও RSS-এর সেই অবস্থা।
‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় রাতারাতি মহাত্মা গান্ধী সহ তাবৎ কংগ্রেস নেতৃত্বকে জেলে পুরেছিলো ব্রিটিশ। তাতে আন্দোলন থেমে থাকেনি। আজ বিজেপি ও RSS- এর বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেস ডাক দিয়েছে ‘ ভারত জোড়ো’ আন্দোলনের। আজ ব্রিটিশ নেই, কিন্তু ব্রিটিশের লেজুড় বৃত্তি করা শক্তি আবারও কংগ্রেসের নেতৃত্বকে কারাগারে ঢোকানোর চক্রান্ত করছে। আজ আবার
বিয়াল্লিশের আগুন জ্বালো।”