শুভ মিত্রের বিশেষ প্রতিবেদন, ৩ রা অগাস্টঃ
স্বাধীনতা সংগ্রামের অতন্দ্র প্রহরী ন্যাশানাল হেরল্ড পত্রিকার দপ্তর সিল করে দিল বৃটিশের দালালেরা।এরাই একসময় স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীতা করে বৃটিশের দালালি করেছিল।জাতীয় কংগ্রেস যখন বৃটিশদের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল মহাত্মাজি,পন্ডিতজি,নেতাজি,বল্লভভাই প্যটেল,আবুল কালাম আজাদ প্রমুখের নেতৃত্বে তখন বিজেপির আদি পুরুষ আরএসএস তখন এইসব আন্দোলনকে সমর্থন না করে বৃটিশদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল শুধু তাই নয়,তারা তখন নানাভাবে কংগ্রেসের গড়ে তোলা জনতার সমর্থনপুষ্ট আন্দোলনের পেছন থেকে ছুরি মেরেছিল সে ইতিহাস নুন্যতম শিক্ষা যাদের আছে তা তাদের অজানা নয়।সেসব ইতিহাস মানুষকে ভোলাতে হবে।তাই স্বাধীনতার পঁচাত্তরতম বর্ষে এই ফ্যাসিস্ত বিজেপি সরকার একের পর যা করে চলেছে তা তাদের পরিকল্পিত পথ।এর আগে জালিয়ানওয়ালাবাগের ক্ষত মেরামত করে সেখানে বিরাট বাজার কমপ্লেক্স তৈরী করে সেখানে জেনারেল ও’ডায়ারের নেতৃত্বে হাজার জনেরও বেশী মানুষকে অন্ধকূপের মত বন্দী করে গুলি চালিয়ে হত্যার স্মৃতিচিহ্ন মোছার কাজটি বছরখানেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে।মহাত্মার স্মৃতিবিজারিত সবরমতী আশ্রমের ভোল বদল করে তার ভাবধারাটিকে নষ্ট করে দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।এবার দেশের স্বাধীনতার সময় যে সংবাদপত্রটির মাধ্যমে দেশের মানুষ বৃটিশদের নক্কারজনক ঘটনাবলী জানতে পারতেন ও বিভিন্ন আন্দোলনের খবর,বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি জানতে পারতেন আজ সেই সংবাদপত্রের দপ্তরটিকে সিল করে তার কণ্ঠরোধের নক্কারজনক চেষ্টা প্রমান করে স্বাধীনতার অমৃতোৎসব আসলে দেশবাসীকে শৃঙ্খলবদ্ধ কারা অমৃতোৎসব।একইসাথে স্বাধীন ভারতের মূল স্থপতি জাতীয় কংগ্রেসের সদর দপ্তরের সামনে সিআরপিএফ মোতায়েন করে মোদী কি বলতে চাইছেন কংগ্রেস একটা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।তারা বৃটিশদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে মহাঅপরাধ করেছিল? এই অপচেষ্টা রোধ করতে দেশের মানুষ এক হোক,এই আহ্বান জানাই।