সুদীপ সরকার
বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত হয়। এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন দ্য হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট)। এই কনফারেন্স হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন অবধি, এই কনফারেন্স ওই বছরই চালু করেছিল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা। তখন থেকেই প্রতি বৎসর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। প্রতি বছরই দিবসটি আলাদা আলাদা শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়। উত্তর গোলার্ধে দিবসটি বসন্তে আর দক্ষিণ গোলার্ধে দিবসটি শরতে পালিত হয়।
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন আর প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিষ্কাশনের ফলে দিন দিন পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । সেই সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল এবং জলবায়ুর, যার ফলাফল স্বরূপ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ তলিয়ে যেতে পারে ভারতের তথা পৃথিবীর নিম্নভূমির দেশসমূহ। যার যত টুকু সাধ্য তত টুকু দিয়েই চেষ্টা করা দরকার পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য রাখার। আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছে এমন অনেক বিষয়ই রয়েছে যা পরিবেশ/পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর সেগুলো বন্ধ করা বা বন্ধ করার জন্য জনগণকে সচেতন করার শপথ নেওয়ার অনুপ্রেরণা দেয় এই দিনটি।
গরম হচ্ছে বিশ্ব আর মরুর বরফ গলছে,
বাড়ছে জলস্তর এটা বিজ্ঞানীরা বলছে।
তেল-কয়লা পুড়িয়ে চলে সভ্যতার চাকা,
বাড়ছে নগর-উন্নয়ন বন হচ্ছে ফাঁকা।
যে পরিবেশে বাস করি সেটাই করছি নষ্ট, জ্ঞানপাপীরা তাও বুঝি না বসুন্ধরার কষ্ট।
গাছ বাঁচলে বাঁচবে জীবন বাঁচবে পরিবেশ,
শিশুর বাসযোগ্য হবে পৃথিবীর সব দেশ।