মণিপুরি রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা
বিয়ের আগে
তোমাকে শর্ত দিয়েছিলো
তার গর্ভজাত সন্তান মণিপুরের রাজ্যপাট ছেড়ে
তাই
তোমার ঔরসে চিত্রাঙ্গদার গর্ভে জন্ম নেওয়া
বভ্রুবাহন যায়নি কুরুক্ষেত্র ময়দানে!
মহাকাব্যিক উঠোন পার হয়ে
কুরুক্ষেত্র যখন হামাগুড়ি দিয়ে উঠে এসেছে
মণিপুরের চাতালে
তখন তুমি কী করবে তৃতীয় পান্ডব?
তুলে নেবে গাণ্ডীব?
নাকি সম্মুখ সমরে স্বজনের
আর তোমাকে উজ্জীবিত করতে
আমাদেরকে প্রতীক্ষা করতে হবে
আবারও কোনো এক কৃষ্ণের?
তোমার চিত্রাঙ্গদা
হাতজোড় করে ভিক্ষা চাইছে
প্রাণ তোমার চিত্রাঙ্গদা অসহায় গলায় ভিক্ষা চাইছে
ইজ্জত তোমার চিত্রাঙ্গদা পায়ে ধরে
উত্তরে নিষ্ঠুর হাসির সঙ্গে ভেসে আসছে
খুলেছে!
কাপড় খুলতে বাধ্য হয়েছে
ওই মেয়েটি
—যে মেয়েটি চার বছরের
সন্তানের মাযে মেয়েটি জান বাজি রেখে
কারগিল যুদ্ধে লড়ে যাওয়া
সৈনিকের বউ যে মেয়েটি
তারিয়ে তারিয়ে গরম নিশ্বাসের সঙ্গে
মেয়েটির নগ্নতা উপভোগ করছে হাজার মানুষ,
পালা করে মিটিয়ে নিচ্ছে আদিম প্রবৃত্তি,
ছবিতেও উৎসুক চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছ
নগ্নতার সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছেম
ণিপুর থেকে মালদাকটক
থেকে কলকাতা নাগাল্যান্ড
থেকে নদীয়া
;সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে
ঝেড়ে ফেলো সব
দ্বিধাদ্বন্দ্ব মুছে দাও
সকল জড়তা
যুগে যুগে দেশে দেশে
গাণ্ডীব তোলো
– কবি সুকান্ত লাহা