জাতীয় ক্লাব মোহনবাগান ভারতসেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা,১৯ মার্চ:

গতকাল রাত্রে গোয়ায় বেঙ্গালুরু এফ সি কে ট্রাইবেকারে হারিয়ে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হল।অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ২-২ গোলে অমিমাংশিত থাকার পর খেলা ট্রাইবেকারে গড়ায়।বিশাল কাইতের বিশ্বস্ত হাত একটি শট বাঁচিয়ে দেওয়ার পরই বাগান সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখতে আরম্ভ করলেও পঞ্চম শটটি ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার পর আর মোহনবাগানকে শেষ শটটি নিতে হয় নি। ৪-৩।সব মিলিয়ে ফল ৬-৫।ঠিক তারপর আবেগাপ্লুত দলের কর্ণধার সন্জীব গোয়েঙ্কা ঘোষনা করেন আগামী মরসুম থেকে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টস নামে খেলবে।তিনিও অন্য খেলোয়াড়দের মতন চ্যাম্পিয়ন লেখা টি শার্ট পরে আনন্দপ্রকাশ করলেন।ম্যাচের প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেয় পেত্রাতোস।সুনীল একইভাবে করেন ১-১ প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে।রয় কৃষ্ণের গোলে ব্যাঙ্গালুরু এগিয়ে গেলেও তা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয় নি।পেত্রাতোস আবার পেনাল্টি থেকে সমতা ফিরিয়ে আনেন।মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইত বার বার ত্রাতা হয়ে ওঠেন। এজন্য তিনি টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠ গোলকিপারের পুরষ্কার অর্জন করেন।বাগানের স্পেনীয় কোচ জুয়ান ফেরান্দো বিশ্বাস করেন টোটাল ফুটবলে যাতে সব খেলোয়াড় প্রয়োজনে ডিফেন্স বা অ্যাটাক করবে।যে কেউ গোল করবে।কোন পজেটিভ স্ট্রাইকারের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে তিনি উদাসীন ছিলেন।লীগে বার বার গোল করতে ব্যর্থ হলেও তিনি সুযোগ পেলেও স্ট্রাইকার না নিয়ে মিডফিল্ডার দলে নিয়েছেন ও দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন।তাসত্বেও লিখতে বাধ্য হচ্ছি রয় কৃষ্ণ বা উইলিয়ামসের মত স্ট্রাইকার দলে থাকলে মোহনবাগান অনেক বেশী গোল তো করতই।কোন ম্যাচ ট্রাইব্রেকার পর্যন্ত হয়তো গড়াত না।আগামী বছর দলগঠনের সময় এটা মনে রাখলে বোধহয় বাগান সমর্থকেরা স্বস্তি পাবেন

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *