রামনবমীকে উপলক্ষ করে শুরু হয়ে গেল বিজেপির দাঙ্গা বাধিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটিয়ে আগামী নির্বাচনগুলির প্রচারের অপচেষ্টা। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক সংঘর্ষ সৃষ্টি করেছে তারা। পশ্চিমবঙ্গেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
হত বৃহস্পতিবার রামনবমী উপলক্ষে হাওড়ার শিবপুরে গেরুয়াধারীরা তলোয়ার নিয়ে মিছিল পুলিশের নির্ধারিত রুট ছেড়ে সংখ্যালঘু পিএম বস্তি এলাকায় আস্ফালন ও ভীতি প্রদর্শন করে।সেই থেকেই গড়ায় সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য পুলিশ।সেই দায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যেমন নিতে হবে তেমনি বিধানসভার বিরোধী দলকেও নিতে হবে।বিজেপি পরিচালিত গেরুয়াধারীদের অপকর্মের দায় বিজেপির রাজ্য শাখারও কম নয়।
গত কয়েকবছর ধরে বিজেপি শোভাযাত্রা সহকারে অস্ত্র নিয়ে রামনবমীর মিছিল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পরিক্রমা করে। ছোটবেলা বিহারের বিভিন্ন স্থানে থাকার সুবাদে রামনবমী পালনের কিছু দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে।চেতলার নিকটবর্তী পোর্ট ট্রাষ্টের জমিতে সেখানে বসবাসকারী অবাঙালী মানুষের দীর্ঘদিন ধরে রামের জন্মদিন পালন করেন সারাদিন উপবাস করে সন্ধ্যায় ফলমূল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করে আসছেন।এছাড়াও দরিদ্রদের মধ্যে পোষাক বা বিভিন্ন উপহার বিতরন করে তারা এইদিনটি উদযাপন করেন।কোনদিন তাদের মিছিল বা তলোয়ার নিয়ে সিংহবিক্রমে আস্ফালন করতে কেউ দেখেন নি।২০১৯ সালে চিত্তরঞ্জন এভিনিউতে যে রামমন্দির আছে তার পুরোহিত বলেছিলেন আমরা গত অর্ধশতাব্দী ধরে বংশানুক্রমে এই মন্দিরের পুরোহিত,কিন্তু কখনও এখানে রামনবমীর দিন মিছিল ও তলোয়ার নিয়ে শোভাযাত্রা দেখিনি।কিন্তু এখন বিজেপির সাথে পাল্লা দিয়ে রাজ্যের শাসক দল প্রতিযোগীতায় নেমেছে। হাওড়ায় সংখ্যালঘু এলাকায় গিয়ে ইট পাটকেল বা গরমজল ছোঁড়ার ঘটনা প্রমান করে বিগত নয় বছর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের আবহে আগামীদিনে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে জয়লাভ সম্ভব নয়।তাই দাঙ্গা দেখিয়ে ধর্মীয় বিভেদীকরন সম্পূর্ণ করতে হবে।এই অপচেষ্টা রুখতে দেশবাসীর মত পশ্চিমবঙ্গবাসীদেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া জরুরি।