শুভাশিস মজুমদার
জম্মু ও কাশ্মীরের ২০ জনেরও বেশি নেতা, যাঁদের বেশিরভাগই গুলাম নবি আজাদের ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টির, সোমবার, ৭ আগস্ট, দিল্লিতে কংগ্রেস পার্টি প্রধান মল্লিকার্জুন খড়গের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজাদকে তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়, “মিস্টার জিএনএ নিজেই তাঁর ডিএনএ মিউটেশনের নতুন প্রমাণ দিয়েছেন এই বলে, ‘যারা ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করছেন তারা মাটির (বাস্তব) পরিস্থিতি সম্পর্কে অজ্ঞ’।” “এটি এমন একজন ব্যক্তির (গুলাম নবী আজাদ) উক্তি যিনি ৫ অগাস্ট ২০১৯-এ রাজ্যসভায় ৩৭০ ধরা বাতিলের বিরুদ্ধে অভিযোগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন! রাজ্যসভা থেকে অবসরের অনেক পরেও, নয়াদিল্লিতে তাঁকে (সাংসদ হিসেবে পাওয়া) বিশাল বাংলোতে থাকতে দেওয়ার যৌক্তিকতা কি ?” কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন,”আজ (সোমবার) সকালে, ডি এ পি (ডিস অ্যাপিয়ারিং আজাদ পার্টি / নিখোঁজ আজাদ পার্টি) থেকে ২১ জন জে অ্যান্ড কে নেতা কংগ্রেসে পুনরায় যোগদান করেছেন, যাঁর মধ্যে একজন যিনি গুলাম নবী আজাদের পক্ষে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।” কংগ্রেস সভাপতি খড়গে, এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন ইনচার্জ) কে সি ভেনুগোপাল, এআইসিসি রাজ্যের ইনচার্জ রজনী পাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রধান ভিকার রসুল ওয়ানি উপস্থিত ছিলেন।
যশপাল কুন্ডল, একজন প্রাক্তন মন্ত্রী, প্যান্থার্স পার্টির দুই বারের বিধায়ক এবং জম্মু – কাশ্মীরে এ এ পি (আপ) এর এস্ সি / এস্ টি এবং ও বি সি বিভাগের প্রধান, দিল্লিতে কংগ্রেসে যোগদানকারীদের মধ্যে ছিলেন।হাজি আব্দুল রশিদ দার, জেকেপিসিসি-র প্রাক্তন সহ-সভাপতি, যিনি পরে আজাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন, তিনিও কংগ্রেসে ফিরে এলেন।
নরেশ কে গুপ্তা (ডিপিএপি), শাম লাল ভগত (ডিপিএপি), নম্রতা শর্মা (আপনি পার্টি), সায়মা জান (ডিপিএপি), শাহজেহান দার (ডিপিএপি), ফারুক আহমেদ (এএপি), তারাঞ্জিত সিং টনি, গজানফর আলী, সন্তোষ মাজোত্রা (ডিপিএপি) , রজনী শর্মা (ডিপিএপি), নির্মল সিং মেহতা (ডিপিএপি), মদন লাল চলোত্রা (এপিএনআই পার্টি), হামিত সিং বাট্টি (এএপি), রমেশ পান্ডোত্রা (এএপি), বৈদ রাজ শর্মা (এএপি), মনদীপ চৌধুরী (এএপি), নাজির আহমেদ আউকাব, মহেশ্বর বিশ্বকর্মা এবং জং বাহাদুর শর্মা (ডিপিএপি) কংগ্রেসে যোগ দেন।অনেক নেতা, যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে আজাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন, ভুল বুঝতে পেরে কিছু দিন পর থেকেই তাঁরা কংগ্রেসে আবার যোগ দিতে শুরু করেন।